নির্দেশনা পেয়ে ক্যাম্পাসের চারপাশে নির্বাচন ‘উপভোগ’ করছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসের চারপাশে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, দীর্ঘ তিন দশক পর অনুষ্ঠিত রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবার মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় নেতাদের নির্দেশনা পেয়ে তারা নির্বাচন 'উপভোগ' করছেন বলেও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর, কৃষি অনুষদ প্রাঙ্গণ, স্টেশন বাজার ও হরিজন পল্লী এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে হরিজন পল্লী এলাকায় অবস্থানকারী মতিহার থানার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাকিব আলী বলেন, 'আমরা রাবিয়ান। অনেক বছর পর ভোট হচ্ছে। আমরা ভোটের উৎসব উপভোগ করছি। আমরা মহানগরের নেতাদের নির্দেশে এখানে আছি। তবে ভোট উৎসব উপভোগ করতেই থাকছি এখানে।'

বিনোদপুরে বিএনপির সামিয়ানার নিচে অবস্থান করা মহানগর বিএনপির বোয়ালিয়া থানার সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু বলেন, 'আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। ১৭ বছর দেশে কোনো ভোট হয়নি। আর ক্যাম্পাসে ভোট হচ্ছে সাড়ে ৩ যুগ পরে। আমরা মূলত এখানে অবস্থান নিয়েছি উৎসব উদযাপন করার জন্য। কোনো ধরনের ঝামেলা করার জন্য নয়, এটা শিক্ষার্থীদের ভোট।'
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী বলেন, 'জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সেখানে আছে বলেই আমরা এসব এলাকায় সজাগ আছি। তারা যেন প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। আমাদের এক ধরনের সজাগ থাকার নির্দেশনা আছে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজার সংলগ্ন মেহেরচণ্ডী এলাকাতেও বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অবস্থান নিতে দেখা যায়। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া রাজশাহী মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি রকুনুজ্জামান আলম বলেন, 'আমরা নির্বাচন এনজয় করতে এখানে এসেছি। বিগত ১৭ বছর ছিল না। রাকসু হয়নি ৩৫ বছর, ফলে আমাদের এটা নিয়ে আগ্রহ আছে। তাছাড়া রাকসুর প্রভাব জেলা ও মহানগরে পড়বে। ফলাফল যাইহোক আমরা চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যেখানে কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং হবে না।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ প্রাঙ্গণের উত্তর পাশের একটি ছাউনিতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী অবস্থান করতে দেখা যায়। তাদের প্রায় ৫০ ফিট দূরত্বে অবস্থান নিয়েছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
জামায়াত নেতাকর্মীদের একজন একরামুল হক, যিনি জামায়াতের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি। তিনি বলেন, 'আমরা রাজশাহীর লোকজন এখানে আসছি নির্বাচন উপভোগ করতে।'