কড়াইল বস্তির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে গুলশানে সরবরাহ বন্ধ, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে বড় ধরনের গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। পাশের কড়াইল বস্তিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ অপসারণ অভিযান চালানোর পর থেকে পুরো গুলশান-১ ও গুলশান-২ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ অভিযান শুরু করে। এতে গুলশানের আবাসিক ভবন, রেস্তোরাঁ ও অফিসগুলোতে গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে দৈনন্দিন জীবন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
তিতাসের গ্যাস বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মনজুর আজিজ বলেন, 'বৃহস্পতিবার আমরা অভিযান শুরু করি। এটি মাকড়সার জালের মতো- সব দিক থেকে অবৈধ সংযোগ নেওয়া হয়েছে। এ সংযোগগুলো শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।'
গ্যাস সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে মনজুর আজিজ বলেন, 'কড়াইল বস্তির সংযোগগুলো গুলশান-১ ও ২–এর মূল পাইপলাইনের সঙ্গে যুক্ত। পুরো এলাকার নিরাপত্তার কথা ভেবে আমাদের সম্পূর্ণ সরবরাহ বন্ধ করতে হয়েছে।'
তবে তিতাস কর্মকর্তারা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড–কে জানান, গ্যাস সরবরাহ কবে পুনরায় স্বাভাবিক হবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
দীর্ঘ সময় ধরে গ্যাস না থাকায় ক্ষুব্ধ গুলশানবাসীরা আজ বিক্ষোভ করেছেন। তারা দ্রুত গ্যাস সরবরাহ পুনঃস্থাপনের দাবি জানান। গুলশানের এক বাসিন্দা বলেন, 'আমরা জানি, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা জরুরি, কিন্তু এভাবে পরিকল্পনাহীনভাবে পুরো এলাকায় গ্যাস বন্ধ করা ঠিক নয়। কয়েক দিন ধরে আমরা গ্যাস ছাড়াই আছি।'
অভিযান নিয়ে তিতাস কর্মকর্তারা জানান, প্রাকৃতিক গ্যাসের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং অবৈধ সংযোগ রোধের জন্য এই অভিযান জরুরি হয়ে পড়েছিল।
গুলশান ও বনানীর মাঝামাঝি অবস্থিত কড়াইল বস্তি দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ অননুমোদিত ইউটিলিটি সংযোগের কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত।
চলমান অভিযানটি গ্যাস চুরি রোধে তিতাসের বৃহত্তর অভিযানের অংশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুলশান এলাকার বাসিন্দারা এখনও জানেন না, কবে তাদের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে।