শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত বাধ্যতামূলক ধারা সংবিধান থেকে বিলুপ্তির প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি প্রদর্শনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে চায় অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ লক্ষ্যেই সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪(ক) বিলুপ্তির প্রস্তাব 'জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫'-এ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি কমিশন বিবেচনা করছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চেয়ে কমিশন থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের স্বাক্ষর করা পাঠানো ওই চিঠিতে জানানো হয়, রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ ২০২৫ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নবিষয়ক আলোচনা শেষ হয়েছে। এখন কমিশন সংবিধানের বিদ্যমান অনুচ্ছেদ ৪(ক) বিলুপ্তির প্রস্তাব সনদে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪(ক)-এ উল্লেখ আছে- 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয়সহ সব সরকারি ও আধাসরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনগুলোতে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করিতে হইবে।'
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেল চারটার মধ্যে লিখিত মতামত জমা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। মতামত কমিশনের কার্যালয়ে সরাসরি, ই-মেইলে বা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠানো যাবে। প্রয়োজনে একই মাধ্যম ব্যবহার করে কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান কমিশনের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি জানান, এখনো দলীয়ভাবে কোনো মতামত পাঠানো হয়নি।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনে। তখনই সংবিধানের প্রথম ভাগে 'জাতির পিতার প্রতিকৃতি' শিরোনামে চতুর্থ অনুচ্ছেদ ৪(ক) যুক্ত করা হয়, যাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়।