সাবেক অতিরিক্ত সচিব হারুনের জমি-ফ্ল্যাট জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ আদালতের

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ চলমান থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. হারুন-অর-রশিদের জমি, প্লট, ফ্ল্যাট, গাড়ি ও সঞ্চয়পত্রসহ ৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
হারুনের জব্দ হওয়া সম্পদগুলো হলো- বরিশাল, গাজীপুর নারায়ণগঞ্জ জেলায়। এছাড়া দক্ষিণ কল্যাণপুরের ১১ তলার টাওয়ার ও একটি ফ্ল্যাট, পূর্বাঞ্চলের নিউ টাউনের ৩ কাঠার প্লট, ধানমন্ডিতে ৪ হাজার ২১৮ বর্গফুটের এক তলা ভবন জব্দ করা হয়েছে।
জব্দ হওয়া সম্পদের মূল্য দেওয়া হয়েছে, ৩ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৮ টাকা। একটি গাড়ির মূল্য, একটি সঞ্চয়পত্র ও ৮টি ব্যাংক ব্যাংক হিসাবে আছে, ২ কোটি ৪০ লাখ ৬৭ হাজার ৭৬ টাকা।
দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ জব্দ ও অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন।
নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ৯টি ব্যাংক হিসাবে ২৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৬ হাজার ৪২৬ টাকা জমা ও ২৭ কোটি ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৩ টাকা উত্তোলন করেছে। যার মোট পরিমাণ ৫৭ কোটি ৭০ লাখ ১১ হাজার ৭৩৯ টাকা।
তিনি সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং এর সম্পৃক্ত অপরাধ 'দুর্নীতি ও ঘুষ' সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে এটার রুপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ৩৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, আসামি তার সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে স্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। সেজন্য স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করে রিসিভার নিয়োগ করা একান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর হারুন অর রশিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন একই আদালত।