জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ১৪ মাস পরেও কেন ঐকমত্যের আলোচনা করতে হবে: প্রশ্ন আমীর খসরুর

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ১৪ মাস পরেও কেন ঐকমত্যের আলোচনা করতে হবে, সেই প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তার প্রশ্ন, 'যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, লেট'স ক্লোজ দ্য চ্যাপ্টার। ঐকমত্যের বাইরে গিয়ে আবার কেন এত আলোচনা করতে হচ্ছে? কেন আমাকে পিআর নিয়ে আলোচনা করতে হবে? পিআর নিয়ে যদি ঐকমত্য না হয়, ক্লোজ দ্য চ্যাপ্টার। ...আমরা কয়েকটি দল টেবিলের চারদিকে বসে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করব, এই দায়িত্ব কে দিয়েছে?'
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত 'সংস্কার নির্বাচন: প্রেক্ষিত জাতীয় ঐক্য' শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি একমত হয়েও থাকে, সেটাও জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আমাদের সংসদে আসতে হবে, এটা পাস করার জন্য। আজকে যদি আমরা সবাই নাকে খত দিয়ে অনেক জিনিসে একমত হয়ে যাই, কালকে যদি দেশের মানুষ সেটা না চায়, ম্যান্ডেট না দেয়, তাহলে কী হবে?'
আমীর খসরু আরও বলেন, 'আমরা পরিষ্কার করেছি যে ৩১ দফা নিয়ে জনগণের কাছে যাব। কিন্তু তার বাইরে গিয়ে যে এক্সারসাইজ চলছে, এর মাধ্যমে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হচ্ছে।'
বিএনপি দেশের জনগণের জন্য বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, 'বাংলাদেশের তো সমস্যার শেষ নাই। প্রতিটি দলকে জনগণের সঙ্গে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের কথা বলা দরকার। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করছি। ১৮ মাসে এক কোটি লোকের চাকরি দেব, আমরা ব্যবস্থা করব। এছাড়া বাংলাদেশের জনগণের বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
তিনি বলেন, 'যেসব দেশে অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে বিভক্ত হয়েছে, সেসব দেশ অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় আছে।' জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দেন বিএনপির এই নেতা।
আমীর খসরু আরও বলেন, 'শুধু রাজনীতিকে গণতান্ত্রিক করলে তো চলবে না। অর্থনীতিকেও গণতান্ত্রিক করতে হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতিতে যেভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, ইকুয়াল এক্সেস পাবে, অর্থনীতিতেও ইকুয়াল এক্সেস সবাইকে পেতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ গড়ার জন্য পুরো একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে আমাদেরকে ঢুকতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র তখনই কাজ করবে যখন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সাথে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যেকটি বিষয় সম্পৃক্ত হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনার পর প্রত্যেকে যাতে সবাই মুক্ত পরিবেশে কাজ করতে পারে, প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল তাদের কথাগুলো মুক্তভাবে বলতে পারে, সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত হয়- এগুলো হচ্ছে মূল বিষয়।'