সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চালুর আহ্বান জানালেন সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজনীতির মাঠে ভিন্নমত থাকলেও সৌহার্দ্যপূর্ণ ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে আলাপ-আলোচনার সংস্কৃতি চালু রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানাতে দলটির কার্যালয়ে যায় এনসিপি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, 'বিএনপি গঠনের উদ্দেশ্য ছিল একদলীয় বাকশাল বিলুপ্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করা। বিএনপির বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারণা এ দেশের সব জনগণকে একত্রিত করেছিল। গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রত্যাশা ছিল গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক চর্চা ও লালন করা।'
তিনি বলেন, 'আমাদের তরুণ বন্ধুরা নাগরিক পার্টি সৃষ্টি করেছে। তারা আজ প্রমাণ করলো রাজনীতির মাঠে তর্ক-বিতর্ক ও ভিন্নমত প্রকাশ থাকবে, তবে তা হবে সৌহার্দ্যমূলক আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে। পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে আলোচনা চালু থাকাই রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এই বিশাল পরিবর্তন আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নেবে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চালুর মাধ্যমে বিগত দিনের অগণতান্ত্রিক, অপসংস্কৃতি বিলুপ্ত করা সম্ভব হবে।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, 'ভালো রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদী রাজনীতি বিলুপ্ত করতে পারবো।'
এ সময় এনসিপির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে ধারণ করে দেশ ও জনগণকে প্রাধান্য দিয়ে বিএনপি কাজ করে যাবে। আমাদের মতে, শেখ হাসিনা শুধু গণতন্ত্র নষ্ট করেননি, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিও শেষ করে দিয়েছেন।'
তিনি আরও বলেন, 'যেকোনো রাজনৈতিক দলের কোনো বিষয়ে আমাদের দ্বিমত থাকতে পারে, তার পক্ষে-বিপক্ষে সমালোচনাও থাকতে পারে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়া আমরা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, তা সম্ভব নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একসঙ্গে আমরা কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাব।'