Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Wednesday
September 03, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
WEDNESDAY, SEPTEMBER 03, 2025
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে টাকা জমা দিচ্ছে না অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান, বঞ্চিত শ্রমিকরা

বাংলাদেশ

শেখ আবদুল্লাহ
01 September, 2025, 10:00 am
Last modified: 01 September, 2025, 10:01 am

Related News

  • কোনো মালিক শ্রমিককে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারবে না: শ্রম উপদেষ্টা
  • জুলাই যোদ্ধাদের জন্য ২৫ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
  • ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: মেয়র হলে ‘ভালো ব্যবহার’ করতে হবে মামদানিকে, নইলে তহবিল বন্ধ!
  • ১৮ মিলিয়ন থেকে ৫৯০ মিলিয়ন ফ্রাঁ: ২০২৪ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থ বেড়েছে ৩৩ গুণ
  • ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ: ট্রাম্প

শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে টাকা জমা দিচ্ছে না অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান, বঞ্চিত শ্রমিকরা

শেখ আবদুল্লাহ
01 September, 2025, 10:00 am
Last modified: 01 September, 2025, 10:01 am

প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পরও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন এখনো প্রত্যাশিত সুবিধা দিতে পারছে না। অর্থ জমাদের উপযুক্ত বা যোগ্য অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান এ তহবিলে টাকা জমা দিচ্ছে না, আর শ্রমিকদের জন্য টাকার আবেদন প্রক্রিয়াটিও হয়ে উঠেছে জটিল।

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০০৬ এর আওতায় প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কল্যাণে এই ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়। কিন্তু যাত্রার শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে—জনবল সংকট, দুর্বল ব্যবস্থাপনা আর প্রশাসনিক জটিলতায়।

ফাউন্ডেশনের সূত্র জানিয়েছে, এবছরের জুন পর্যন্ত ৮ হাজার যোগ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৫২৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের লভ্যাংশ থেকে এ তহবিলে অর্থ জমা দিয়েছে। জুন শেষে ফাউন্ডেশনের তহবিলের স্থিতি অর্থাৎ মোট জমা ছিল ১ হাজার ২৪১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ওই মাসে ২৯ কোটি টাকা জমা হয়েছে। ফাউন্ডেশন প্রধানত এই তহবিলের সুদ আয় থেকে শ্রমিকদের অনুদান দিয়ে থাকে। তবে ওই মাসে শ্রমিকদের মাঝে কোনো অনুদান বিতরণ করা হয়নি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা শ্রম শক্তি জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৭ কোটির বেশি মানুষ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এদের ৮০ শতাংশের বেশি অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক।

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত জুন পর্যন্ত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন মাত্র ৩০ হাজার ২৮৫ জনকে— ১৪১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে; যা দেশের মোট শ্রমশক্তির মাত্র ০.০৪৩ শতাংশ। অন্যদিকে তৈরি পোশাক খাতের প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিকের জন্য আলাদা কেন্দ্রীয় তহবিল রয়েছে।

সাবেক শ্রমসচিব ও ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান স্বীকার করেছেন যে প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারছে না। টিবিএসকে তিনি বলেন, "প্রথমত শুরু থেকেই এই ফাউন্ডেশনকে কার্যকরভাবে পরিচালনার উদ্যোগে ঘাটতি ছিল। বর্তমানে একটি স্থায়ী অফিস দেওয়া হলেও জনবলে ঘাটতি রয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, আইন অনুযায়ী শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে অর্থ দেওয়ার যোগ্যতা রয়েছে, দেশে এমন কোম্পানির সংখ্যা ৮ হাজারের বেশি। "কিন্তু যোগ্য কোম্পানির ১০ শতাংশের কম কোম্পানি এই তহবিলে অর্থ দিচ্ছে। দেশের লাখ লাখ শ্রমিক নানান সমস্যায় জর্জরিত। তহবিল সংকটে তাদের প্রয়োজনীয় কল্যাণে উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।"

তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফাউন্ডেশনকে সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করতে উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে।

@জটিল আবেদন প্রক্রিয়া

শ্রমিক নেতারা বলছেন, ফাউন্ডেশনের সহায়তা পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়াই শ্রমিকদের নিরুৎসাহিত করে। আনুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য নিয়োগকর্তা, শ্রম সংগঠন বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সুপারিশ দরকার হয়। আর অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের অনুমোদন নিতে হয় স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং শ্রম বা কারখানা পরিদর্শন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিআইএলএস)-এর যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, "এই তহবিল থেকে প্রধানত অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের সহায়তা দেওয়া হয়। কিন্তু এর আবেদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং সহায়তার পরিমাণ বেশ কম। আগে এর অফিস সচিবালয়ের ভেতরে থাকায় সহায়তা পেতে আরও দেরি হতো। এজন্য অনেকে জটিল প্রক্রিয়া পার করে সামান্য সহায়তার জন্য আসেন না। যদিও সম্প্রতি আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"

তিনি বলেন, বড় অসুবিধা হচ্ছে শ্রমিককে আবেদন করে এই অর্থ নিতে হচ্ছে। অথচ এখানে জমা হওয়া অর্থের মালিক কিন্তু শ্রমিকরা। এজন্য পদ্ধতি হওয়া উচিত এমন যে তহবিল শ্রমিকদের কাছে যাবে। সেটা হতে পারে চিকিৎসার মাধ্যমে বা শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষার মাধ্যমে। কিছুক্ষেত্রে শ্রমিকরা আবেদন করবেন।

কাঠামোগত সমস্যা

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এই সংস্থাতে ১১ জন মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তারা কেউই পূর্ণকালীন মহাপরিচালক ছিলেন না। অন্য দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে এই দায়িত্ব পালন করেছেন।  ভালো বসার জায়গা, গাড়ি সুবিধা না থাকায় কেউ এখানে আসতে চাইতেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘদিন কোনো স্থায়ী অফিস পায়নি ফাউন্ডেশন। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভবনের পেছনে টিনশেডে বসতেন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। টিনশেড ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ শুরু হলে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের ২১ তলার একটি অংশে স্থান হয় ফাউন্ডেশনের। আগে স্বল্প জায়গায় গাদাগাদি করে বসতে হতো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সেই অবস্থা থেকে গত জানুয়ারি থেকে মুক্তি মিলেছে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

সারাদেশের শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করলেও বর্তমানে ফাউন্ডেশনের অনুমোদিত জনবল মাত্র ১৮ জন। এরমধ্যে রয়েছেন ১২ জন। এছাড়া ফাউন্ডেশনের কোনো গাড়ি নেই। সারাদেশে ফাউন্ডেশনের আর কোনো আঞ্চলিক কার্যালয়ও নেই। বর্তমান মহাপরিচালক মো. মুনীর হোসেন খান পূর্ণকালীন দায়িত্বে আছেন।

তিনি টিবিএস-কে বলেন, আগের সরকারের সময় কিছু অযোগ্য ব্যক্তি সহায়তা পেয়েছিলেন,বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই  পরিচিতির জোরে বা হাতে লেখা আবেদনপত্র দিয়ে। "ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অপব্যবহার না হয়, এজন্য আমরা জার্মানির সহায়তায় একটি অনলাইন আবেদন পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছি। এটি শেষ পর্যায়ে আছে, শিগগির চালু হবে।"

টাকা জমা দেয় কারা, সুবিধা পায় কারা

আইন অনুযায়ী, যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১ কোটি টাকা বা মোট সম্পদ ২ কোটি টাকা, তাদেরকে লভ্যাংশের ০.৫ শতাংশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা দিতে হয়।

এটি আসলে শ্রমিকদের নিজস্ব টাকা, কারণ শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের জন্য সংরক্ষিত থাকার কথা। তারই একটি অংশ এ তহবিলে জমা হয়।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনকারী সংস্থা- যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের (আরজেএসসি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে ৮ হাজারের বেশি কোম্পানি রয়েছে, যারা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আইন অনুযায়ী তহবিলে লভ্যাংশের অর্থ দেওয়ার যোগ্যতা রাখে।

তহবিলটি শ্রমিকদের কল্যাণমূলক প্রকল্প, অক্ষম ও অসমর্থ শ্রমিককে আর্থিক অনুদান দেওয়া,  অসুস্থ শ্রমিকের চিকিৎসা সহায়তা, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক অনুদান, শ্রমিক পরিবারের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া, জীবনবীমার ক্ষেত্রে যৌথ বীমা ব্যবস্থা চালু করা এবং সেজন্য তহবিল থেকে বীমার প্রিমিয়াম পরিশোধ করা প্রধানত এই তহবিলের মূল উদ্দেশ্য। এছাড়া তহবিল পরিচালনা ও প্রশাসনিক উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমও নেওয়া তহবিলের উদ্দেশ্য। তবে শ্রমিকরা এই তহবিলের সুবিধা বিশেষ পাচ্ছে না।

এই তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কিছু মৃত শ্রমিকের পরিবারকে অনুদান, শ্রমিকদের জরুরি চিকিৎসা সহায়তা, শ্রমিকের সন্তানদের শিক্ষা সহায়তা, মাতৃত্বকালীন আর্থিক সহায়তা, শ্রমিকের মৃতদেহ পরিবহন ও সৎকারে সহায়তা ও প্রশিক্ষণ কাজে ব্যয় করা হয়েছে।

এপর্যন্ত ফাউন্ডেশন ৯৭৪ মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, ২৭ হাজার ৪৭৯ শ্রমিককে চিকিৎসা সহায়তায় ১২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা এবং ১ হাজার ৮৩২ শিক্ষার্থীকে ৭০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা শিক্ষা সহায়তা দিয়েছে।

যেসব প্রতিষ্ঠান টাকা জমা দিয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে গ্রামীণফোন, রবি, ইউনিলিভার বাংলাদেশ, ম্যারিকো, লাফার্জহোলসিম, লিন্ডে বাংলাদেশ, মেঘনা ও যমুনা অয়েল, এসিআই, বিসিআরএম, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও নুভিস্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, সাম্পকর্চ নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার এবং ট্রান্সকম গ্রুপের মতো বৃহৎ দেশীয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

অংশগ্রহণ বাড়াতে উদ্যোগ

শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, তহবিলে জমা টাকার দুর্বল ব্যবস্থাপনা অন্যতম বড় বাধা। এই তহবিলের প্রায় ২০০ কোটি টাকা সমস্যা-কবলিত পদ্মা ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে রাখা ছিল। এসব ব্যাংকের পরিস্থিতি এত খারাপ যে আমানতকারীরা জমানো অর্থ ফেরত পাচ্ছেন না। তবে সরকার পরিবর্তনের পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের হস্তক্ষেপে এই দুটি ব্যাংকে রাখা অর্থ ফেরত পেয়েছে যদিও শ্রমিক কল্যাণ তহবিল।

শ্রম মন্ত্রণালয় এখন আরও প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ও সমিতির সঙ্গে বৈঠক করা হবে। তহবিলে ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা হবে।  যেসব কোম্পানি স্বেচ্ছায় অংশ নেবে না তাদেরকে আনার জন্য কিছু বিশেষ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যেমন কিছুক্ষেত্রে লাইসেন্স নবায়নের সময় এই তহবিলে অর্থ জমা করার প্রমাণপত্র দিতে হবে। আবার সরকারি কাজে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রমাণপত্র দিতে হবে।

কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতে নির্মাণ, ওষুধ ও কৃষি-খাদ্য খাতসহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার বিভাগকে সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনাও আছে।

গত ১০ আগষ্ট সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শ্রম উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্মাণখাতের অনেক কোম্পানি রয়েছে, যাদের শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু তারা নিচ্ছে না। এসব কোম্পানি যাতে অংশ নেয়, সেজন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছি। যারা এই তহবিলে অংশ নেবে না, তাদেরকে যেন সরকারি কাজে যাতে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া না হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে মতামত দিতে চিঠি পাঠিয়েছে। সব মতামত পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

কেন্দ্রীয় তহবিল

সম্পূর্ণ রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকরা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলের আওতায় নেই। তারা কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে সুবিধা পায়। এ তহবিল থেকে টাকা আসে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানি আয়ের একটি অংশ কর্তন করে। শ্রমিকরা এটি পায় নিয়োগকর্তার মাধ্যমে।

এ তহবিল থেকে শ্রমিকের চিকিৎসা, মেধাবী সন্তানের লেখাপড়ায় আর্থিক সহায়তা এবং কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় কোনো শ্রমিকের দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটলে অথবা স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটলে তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

রপ্তানি আয় দেশে আসার পর তা থেকে ০.০৩ শতাংশ অর্থ কেটে নিয়ে এই তহবিলে জমা করে ব্যাংক। ফলে এই তহবিলে অর্থ জমা হওয়ার বিষয়টি রপ্তানিকারকদের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করে না। গত জুন মাসে এই তহবিলে ৮ কোটি ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা জমা হয়েছে। জুন মাস শেষে ওই তহবিলের স্থিতি অর্থাৎ মোট জমা ছিল ৩০৪ কোটি টাকা।

এই তহবিল থেকে সরকার সংকটে পড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধে ঋণও দিয়ে থাকে। যদিও প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত সময়ে এসব ঋণের অর্থ ফেরত দেয়নি।

বাংলাদেশ পোশাক শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় তহবিল পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. তৌহুদুর রহমান টিবিএসকে বলেন, এই তহবিল থেকে যে অনুদান দেওয়া হয়, সেটি খুব প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে দেওয়া হয়। ফলে এখানে জটিলতা বিশেষ নেই।

তিনি বলেন, "শ্রমিকের কারখানা থেকে বিজিএমইএ বা বিকেএমইএতে আবেদন পাঠানো হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় তহবিলে। এখানে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করে অর্থ ছাড় করা হয়।" 

 

Related Topics

টপ নিউজ

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন / তহবিল / অর্থ জমা / শ্রম অধিকার

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • রাস্তা বন্ধ করে গুলশানের বাসা থেকে যাতায়াত: সরিয়ে দেওয়া হলো গাজীপুরের পুলিশ কমিশনারকে
  • ৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ায় বরখাস্ত হলেন সহকারী কর কমিশনার
  • কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক হচ্ছে, তবে নেই কোনো এয়ারলাইন
  • অধস্তন কর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর পর প্রধান নির্বাহীকে বরখাস্ত করল নেসলে
  • ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালালের জামিন আবেদন প্রত্যাহার করলেন আইনজীবী
  • ডাকসু নির্বাচন হতে বাধা নেই, হাইকোর্টের আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত

Related News

  • কোনো মালিক শ্রমিককে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারবে না: শ্রম উপদেষ্টা
  • জুলাই যোদ্ধাদের জন্য ২৫ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
  • ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: মেয়র হলে ‘ভালো ব্যবহার’ করতে হবে মামদানিকে, নইলে তহবিল বন্ধ!
  • ১৮ মিলিয়ন থেকে ৫৯০ মিলিয়ন ফ্রাঁ: ২০২৪ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থ বেড়েছে ৩৩ গুণ
  • ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ: ট্রাম্প

Most Read

1
বাংলাদেশ

রাস্তা বন্ধ করে গুলশানের বাসা থেকে যাতায়াত: সরিয়ে দেওয়া হলো গাজীপুরের পুলিশ কমিশনারকে

2
বাংলাদেশ

৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ায় বরখাস্ত হলেন সহকারী কর কমিশনার

3
বাংলাদেশ

কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক হচ্ছে, তবে নেই কোনো এয়ারলাইন

4
আন্তর্জাতিক

অধস্তন কর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর পর প্রধান নির্বাহীকে বরখাস্ত করল নেসলে

5
বাংলাদেশ

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালালের জামিন আবেদন প্রত্যাহার করলেন আইনজীবী

6
বাংলাদেশ

ডাকসু নির্বাচন হতে বাধা নেই, হাইকোর্টের আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net