জাকসু নির্বাচন: একাধিক পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে কৌশলগত পদক্ষেপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, কারণ কয়েকজন প্রার্থী একাধিক পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুযায়ী, ২৫৬ জনকে প্রার্থী বৈধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ২৮ জন একাধিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ছাত্র শিবির, ছাত্র দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) এবং ইউনাইটেড পিপল'স বাংলাদেশের (ইউপি বাংলাদেশ) অনেক প্রার্থী একাধিক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যা স্পষ্টতই নির্বাচনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
তবে, ২৮ আগস্টের মধ্যে সকল প্রার্থীকে অতিরিক্ত পদ থেকে প্রত্যাহার করে কেবল একটি পদই রাখতে হবে।
এইবার ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২০ জন প্রার্থী, আর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭ জন।
তবে, শিক্ষার্থীর মেয়াদ শেষ হওয়ায় ও অন্যান্য বিষয়ের কারণে নারী শিক্ষার্থী ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তবে নারীরা বিভিন্ন সম্পাদকীয় ও অন্যান্য পদে সক্রিয় রয়েছেন।
অন্তত সাত প্রার্থী তিনটি পৃথক পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যার মধ্যে আছেন ছাত্রদল সমর্থিত হামিদুল্লাহ সালমান, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ রুবেল, জাহিরুল ইসলাম। এছাড়াও রাসেল আকন্দ, সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া, শরীফ মোহাম্মদ তিনটি ভিন্ন পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ছাত্রদলের তিনজন ভিপি প্রার্থী রয়েছে।
অন্যদিকে, ২১ জন প্রার্থী প্রত্যেকে দুটি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যার মধ্যে ছাত্রদলের শেখ সাদি, কাজী মৌসুমি আফরোজ, রাফিদুল্লাহ রাফিদ, আরশাদ হাবিব বিশাল, সজ্জাদুল ইসলাম, আবিদুর রহমান রয়েছেন।
ছাত্রশিবির এবং বাগছাসের প্রার্থীরাও একাধিক পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
প্রার্থীরা জানান, এটি তাদের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ। বাগছাস সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, "পার্টির কৌশলের অংশ হিসেবে আমরা একাধিক পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছি, তবে শেষ পর্যন্ত একটি পদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব।"
ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ সাদি বলেন, "ব্যক্তিগত পছন্দ এবং পার্টির নির্দেশনা দুটোই আমাদেরকে একাধিক মনোনয়নপত্র জমা দিতে প্রভাবিত করেছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পার্টির নির্দেশনা অনুযায়ী নেওয়া হবে।"
নারী প্রার্থী অনন্যা ফারিয়া বলেন, "জাকসুর বিভিন্ন পদে কাজের সুযোগ আলাদা। আমি ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী মনোনয়ন জমা দিয়েছি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাকে যে পদে উপযুক্ত মনে করবে, আমি সেটির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।"