সহায়ক নীতি সত্ত্বেও ঋণ পেতে বাধার সম্মুখীন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা: গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়ক নীতি থাকলেও ঋণ পেতে নানা জটিলতায় পড়ছেন দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এসএমই)। ব্যাংকগুলোতে কাগজপত্রের ঝামেলা, জামানত সংক্রান্ত সমস্যা, তথ্য ঘাটতি এসব মিলিয়ে উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ দেশের অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশের বেশি অবদান রাখা এই খাত কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় ভরসা।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের (এসএমই ফাউন্ডেশন) উদ্যোগে ও স্থানীয় সরকার বিভাগ, সুইসকন্টাক্ট এবং ইনোভিশন কনসাল্টিংয়ের সহায়তায় 'অ্যাক্সেস টু ফিন্যান্স: পলিসি টু প্র্যাকটিস' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা উঠে এসেছে। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বৈঠকের কথা জানায় এসএমই ফাউন্ডেশন।
গতকাল রোববার (২৪ আগস্ট) এসএমই ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়ক নীতির পরও এখনো ঋণ পেতে নানা ধরনের বাধার মুখোমুখি হচ্ছেন এমএসএমই উদ্যোক্তারা।
ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩২ শতাংশ।
গোলটেবিল বৈঠকে এমএসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি এবং প্রয়োগের ব্যবধান কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন উদ্যোক্তা, ব্যাংকার, নীতি নির্ধারক এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, অর্থায়নের অভাবে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি ১৮ এমএসএমই উদ্যোক্তার প্রকৃত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়নি। দেশের অর্থনীতিতে এসএমই উদ্যোক্তাদের অবদান বাড়াতে এখনো অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এসব বাধা দূর করে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, এমএসএমই উদ্যোক্তাদের অগ্রগতির বাধাগুলো দূর করে তাদের সত্যিকার অর্থে শক্তিশালী করতে সবার সহায়তা প্রয়োজন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা খান বলেন, উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন সংকট নিয়ে বহুদিন ধরে আলোচনা হলেও খুব কম সমস্যারই সমাধান হয়েছে।
সুইসকন্টাক্ট-এর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রুখেন উদ্দিন আহমদ বলেন, এমএসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের সমস্যা দূর করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে বিকল্প উৎসের অনুসন্ধান করা প্রয়োজন।