হাজী এয়ার ট্রাভেলসের কোটি টাকা আত্মসাৎ: রিমান্ডে ফ্লাইট এক্সপার্টের দুই কর্মকর্তা

হাজী এয়ার ট্রাভেলসের ৩২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ফ্লাইট এক্সপার্টের চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন ও চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৪ আগস্ট) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হকের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. আরিফ বিল্লাহ আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানিতে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করে। এই আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধিতার পর আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২ আগস্ট মতিঝিল থানার আরেক প্রতারণার মামলায় এ দুই কর্মকর্তা ও আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি হাজী এয়ার ট্রাভেলসের সঙ্গে আসামিদের টিকিট বিক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি হয়। চুক্তির পর বাদীর প্রতিষ্ঠানের আইএটিএ কোড ব্যবহার করে আসামিরা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট টিকিট বিক্রি করে আংশিক টাকা পরিশোধ করে। এভাবে পাওনা টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৫ সালের ২ আগস্ট পর্যন্ত ৩২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩১৮ টাকায় পৌঁছায়।
এ ঘটনায় ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রাশিদ শাহ সাঈমকে প্রধান আসামি করে গত ৫ আগস্ট পল্টন থানায় মামলা হয়। মামলায় এ কে এম সাদাত হোসেন ও সাঈদ আহমেদকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়।