ময়মনসিংহে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে পিটুনিতে অটোরিকশা চালকের মৃত্যুর অভিযোগ; বহিষ্কার ৩

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পিটুনির শিকার হয়ে একজন অটোরিকশা চালক মারা গেছেন। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় এক ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে তাকে পিটুনি দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মো. ফাহিম (৩০) মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনার পর মুক্তাগাছা উপজেলার মানকোন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. সজীব হাসান এবং দুই কর্মী আবির ও মারুফকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মুক্তাগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. মনজুরুল হক (আরিফ) ও সদস্য সচিব আসাদ ফরাজী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই তিনজনকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আলগীর চর গ্রামের মুদি দোকানদার রাসেলের সঙ্গে ইয়াসিনের ৩৫০ টাকা পাওনা নিয়ে বিরোধের জেরে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। এই পাওনা টাকা নিয়ে রাসেল ও ইয়াসিনের পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
অভিযোগ উঠেছে, সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাসেলের পক্ষ নিয়ে মানকোন ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি সজীব একদল লোককে নিয়ে মানকোন বোর্ডঘর মোড়ে যান। সেখানে মজনু মিয়া, তার ছেলে ইয়াসিন ও ভাগ্নে ফাহিমকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে সজীব ও তার সহযোগীরা তাদের ওপর নির্বিচারে মারধর চালান।
প্রত্যক্ষদর্শী মোবারক হোসেন বলেন, 'ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সজীব ও তার লোকেরা স্থানীয় একটি করাতকলের কাঠের তক্তা দিয়ে ফাহিমকে নৃশংসভাবে মারধর করে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রাখেন। আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের তাড়িয়ে দেন।'
পরে ফাহিমসহ অন্যদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার রাতে ফাহিমের মা রুবি আক্তার বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সজীবকে প্রধান আসামি করে আরও ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন চন্দ্র গোপ বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।