সংবিধান সংশোধনে উচ্চকক্ষের ভূমিকা চায় না বিএনপি

সংবিধান সংশোধনের সিদ্ধান্ত সরাসরি নির্বাচিত প্রতিনিধি অর্থাৎ নিম্নকক্ষেই হওয়া উচিত, উচ্চকক্ষে নয়—এমনটাই মত বিএনপির। দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, "নিম্নকক্ষে পাস হওয়া বিষয় উচ্চকক্ষে গেলেও সংবিধান সংশোধন যাবে না। কিছু ব্যক্তি চায় সংবিধান সংশোধনী কঠিন করতে, তারা পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে অনির্বাচিত জায়গায় নিয়ে বিষয়টি আরও জটিল করতে চায়।"
বৃহস্পতিবার ঐক্যমত কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের শেষ দিনের আলোচনার বিরতিতে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, উচ্চকক্ষের প্রস্তাব বিএনপির পক্ষ থেকেই এসেছে এবং এটি তাদের ঘোষিত ৩১ দফার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন, "জাতির বিশিষ্টজনদের নিয়ে একটি সমৃদ্ধ উচ্চকক্ষ প্রয়োজন।"
তিনি আরও জানান, কর্ম কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক, ন্যায়পালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনে সংশোধন এনে শক্তিশালী প্রক্রিয়া গঠনে বিএনপি একমত হয়েছে। এসব নিয়োগে 'নোট অব ডিসেন্ট' যুক্ত করার প্রস্তাবও ছিল বিএনপির।
পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, "পিএসসির দুর্নীতির মূল জায়গা ছিল ৫৬ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা। ভাইভায় নম্বর বেশি থাকায় সেখানেও দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়।" এ সময় তিনি চাকরির ক্ষেত্রে বয়সসীমা না রাখার পরামর্শ দেন।
জাতীয় সনদের খসড়া সম্পর্কে তিনি বলেন, "কিছু শব্দে সংশোধনী আনা হয়েছে। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি 'জুলাই ঘোষণাপত্র'-কে স্বীকৃতি দিয়ে চতুর্থ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার।"
তিনি জানান, জাতীয় সনদে প্রধান উপদেষ্টাসহ সব রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষরের মাধ্যমে এক ধরনের সর্বজনীন এবং প্রায় 'সার্বভৌম' বৈধতা নিশ্চিত করা হবে।