বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত নেতা রিয়াদের আরেকটি ফ্ল্যাট থেকে ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার

চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সুলায়মান রিয়াদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চলমান তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয় বলে আজ (৩১ জুলাই) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
এর আগে, ২৬ জুলাই চাঁদাবাজির অভিযোগে রিয়াদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, 'তদন্তের সময় আমরা ফ্ল্যাটটির তথ্য পাই এবং সেখানে অভিযান চালাই। রিয়াদের ঘর থেকে মোট ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, এই টাকা রিয়াদ চাঁদাবাজির মাধ্যমেই সংগ্রহ করেছে।'
রিয়াদ ও তার সহযোগীরা রাজধানীর অন্যান্য এলাকাতেও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত কি না, সে বিষয়েও তদন্ত করছে পুলিশ।
গতকাল (৩০ জুলাই) রিয়াদের বাসায় অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২৬ জুলাই গুলশানে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগে রিয়াদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তারা সাত দিনের রিমান্ডে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার তালিবুর রহমান বলেন, 'রিয়াদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর নাখালপাড়ায় তার রুমে অভিযান চালানো হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে।'
চাঁদাবাজির উদ্দেশ্য এবং ভুক্তভোগীরা কেন টাকা দিতে রাজি হয়েছিলেন—সে বিষয়েও তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
তালিবুর রহমান বলেন, 'ভুক্তভোগীরা যদি আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতেন, তাহলে হয়তো এই অপরাধ প্রতিরোধ করা যেত। তবু আমরা খতিয়ে দেখছি, ভুক্তভোগীদের দিক থেকেও কোনো গাফিলতি ছিল কি না।'
তিনি আরও বলেন, 'এই মামলায় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা মুখ্য নয়। তবে তদন্ত চলছে এবং কেউ রাজনৈতিকভাবে জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।'