বিদেশি অর্থায়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ৭ বাধ্যতামূলক শর্ত

বৈদেশিক অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে সময়মতো অগ্রগতি নিশ্চিত ও ব্যয় কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৭টি বাধ্যতামূলক শর্ত জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
ইআরডির ফরেন এইড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস (এফএবিএ) উইং থেকে সোমবার ইস্যু করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে এসব শর্ত পূরণ করতে হবে।
এফএবিএ উইং প্রধান সৈয়দ আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে আরও বলা হয়, বিদেশি ঋণে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোতে অর্থের সময়-মূল্য নিশ্চিত করা এবং অকার্যকর বিলম্ব এড়াতে প্রকল্প প্রস্তুতির শুরু থেকেই কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে।
ঋণচুক্তির আগে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ডিপিপি ও টি-এপিপি পরিকল্পনা কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রণয়ন করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। একইসঙ্গে প্রকল্প পরিচালকসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়াও চুক্তির আগেই সম্পন্ন করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।
পূর্ত, পণ্য বা সেবা কাজের ব্যয় প্রাক্কলন ও দরপত্র দলিলের খসড়া প্রস্তুত করতে হবে। দরপত্র আহ্বান থেকে শুরু করে চুক্তি প্রদানের আগ পর্যন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
উন্নয়ন সহযোগী ও ইআরডির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত হওয়া ঋণচুক্তির অনুবর্তী হিসেবে যদি সাবসিডিয়ারি ঋণচুক্তির প্রয়োজন হয়, তবে অর্থ বিভাগের সম্মতি নিতে হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট পরিষেবা স্থানান্তর বিষয়ে বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার মধ্যে সময়বদ্ধ সমঝোতা সম্পাদন করতে হবে।
ইআরডি জানিয়েছে, এই নির্দেশনা কেবল চলমান নয়, বরং ভবিষ্যৎ (পাইপলাইনে থাকা) সব প্রকল্পের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। ফলে প্রকল্প পরিকল্পনার শুরু থেকেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং তাদের অধীন সংস্থাগুলোকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, কাঠামোগত ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন না হলে কোনো প্রকল্পের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের অনুমতি দেওয়া হবে না।