মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় হতাহতদের অধিকাংশের বয়সই ১৫ বছরের কম

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের অধিকাংশই ১৫ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় আহত ৫৫ জন বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৭ জনই ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। মৃত ৩১ জনের মধ্যে ২১ জনের বয়সও ১৫ বছরের নিচে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে আরও বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে ২৭ জনের বয়স ১২ বছরের নিচে। আর চিকিৎসাধীন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দুজনের বয়স ৩৭ এবং একজনের বয়স ৪৬ বছর। নিহতদের মধ্যেও ১০ জনের বয়স ১২ বছরের কম।
আহতদের তালিকায় থাকা পাঁচ শিক্ষক হলেন—আশরাফুল ইসলাম, সুমাইয়া লারিন, আনোয়ার হোসেন, নিশি এবং মাহফুজা খাতুন। সবমিলিয়ে ১৮ বছরের বেশি বয়সী ১৬ জন এখনও চিকিৎসাধীন।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির প্লাস্টিক সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ডা. তানভীর আহমেদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বলেন, 'সাধারণভাবে ২০% দগ্ধ হওয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয় এবং ৪০% পোড়া মারাত্মক দগ্ধ হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু মাইলস্টোনের মতো বড় দুর্ঘটনায় ১% নাকি ৪০% দগ্ধ; তাতে খুব একটা পার্থক্য থাকে না। কারণ এখানে শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই ঘটনায় প্রত্যেকের মুখ পুড়ে গেছে। কারণ এতে যুদ্ধবিমানে দাহ্য পদার্থ ছিল এবং আগুন সীমিত স্থানে ছড়িয়েছিল। এ কারণে প্রতিটি রোগীই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।'
বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৪ বছর বয়সী আয়ান এবং ৩২ বছর বয়সী মাসুমা আইসিইউতে আছেন।
এছাড়া ১৮ বছর বয়সী সাইমন, যিনি শারীরিকভাবে দগ্ধ না হলেও মানসিকভাবে প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাকে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার প্যানিক ডিসঅর্ডার শনাক্ত হয়েছে।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১১ জন এবং শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে একজনকে।
আহতদের মধ্যে বর্তমানে আইসিইউতে রয়েছেন আটজন—বার্ন ইনস্টিটিউটে আয়ান (১৪) ও মাসুমা (৩২), এবং সিএমএইচে আতিক (২২), আনোয়ার হোসেন (৩৭), আকিব (১২), বিল্লাল হোসেন (১৫) এবং জান্নাতুল মাওয়া (১০)। এদের মধ্যে ছয়জনের বয়সই ১৫ বছরের কম।