মিটফোর্ডের সামনে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আরও এক আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার বিষয়টি টিবিএসকে নিশ্চিত করে বলেন, সোহাগ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত একজনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
'তাকে র্যাব-১০ ক্যাম্পে আনা হচ্ছে। পরে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে,' বলেন তিনি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম নান্নু কাজী। তিনি এ মামলার ৭ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের থানাধীর কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রাম তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে উল্লেখ করেছে র্যাব।
এর আগে গত রোববার নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার চায়না মোড় এলাকা থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় এ নাঙ্কার আরি দুই আসানু রাজীব ও সজীবকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে গতকাল সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত তাদের দুজনের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনের পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক সোহাগকে এলোপাতাড়ি পাথর দিয়ে আঘাত ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এ ঘটনায় পরদিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম কোতোয়ালি থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। একই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অস্ত্র মামলাও দায়ের করে।
নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।