‘মিটফোর্ডের ঘটনায় তাঁবেদার শক্তির দেশীয় ধারক-বাহকরা জড়িত’: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে শুরু করে সাম্য হত্যা, মিটফোর্ডের ঘটনা—এসবের সঙ্গে এমন একটি গোষ্ঠী জড়িত, যারা তাঁবেদার শক্তির দেশীয় ধারক-বাহক। কারণ, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আধিপত্যবাদী শক্তি কখনোই পছন্দ করে না। তারা জানে, জাতীয়তাবাদী শক্তি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় কোনো ছাড় দেবে না। এ কারণেই একের পর এক সংঘাত, সহিংসতা ও রক্তপাতের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী অভিযোগ করেন, একটি ইসলামি সংগঠন প্রোপাগান্ডা ও নানা কনটেন্ট তৈরি করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, 'কুমিল্লার মুরাদনগরে একজন হিন্দু নারী ধর্ষণের ঘটনায় বলা হলো বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল দায়ী। অথচ ধর্ষিতার স্বামী নিজেই বলেছেন, "এখানে বিএনপির কেউ জড়িত নয়", স্থানীয় এক উপদেষ্টার লোকজনই দায়ী। তারপরও বিএনপির নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোবাইল চুরির অভিযোগে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হলো, ছাত্রদলের সাম্যকেও হত্যা করা হলো। এগুলোই প্রমাণ করছে কী চলছে দেশে।'
রিজভী বলেন, 'যখনই প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করলেন এবং যৌথ বিবৃতি এলো, তখন থেকেই দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়ার দাবি উঠেছে। এটার উদ্দেশ্য এখন পরিষ্কার—একটা ধোঁয়াশা তৈরি করে পানি ঘোলা করে মাছ শিকারের চেষ্টা চলছে।'
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, 'কোনো উসকানিতে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। আমাদের চেয়ারম্যান আছেন, গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারব। কারণ, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণ যদি ওদের সঙ্গে থাকত, তাহলে ওরা কোনোদিন নির্বাচন পেছানোর কথা বলত না, পিআরের কথা তুলত না।'
তিনি বলেন, 'আধিপত্যবাদী শক্তি ও তাদের দালালরা গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। তাদের ফাঁদে আমাদের কোনো নেতাকর্মী বা সমর্থক, পেশাজীবী সংগঠনের কেউ পা দেবে না।'