এনবিআর কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সঙ্গে কাজ করার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করা এবং বন্দরের কার্যক্রম চালু পুনরায় চালু হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আপনারা ভালো করে কাজ করেন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সঙ্গে মানুষের সেবা করলে, সেখানে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর অনলাইন ডাটাবেইস সিস্টেমে বাজেট রিপোর্টিং, ঋণ ও প্রচ্ছন্ন দায় বিশ্লেষণসহ সার্বিক মূল্যায়নের প্রথম বছরের কাজের সমাপ্তি উপলক্ষে আজ সোমবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, 'আমি চাই ট্রান্সপারেন্সি (স্বচ্ছতা) ও অ্যাকাউন্টিবিলিটির সঙ্গে মানুষের সেবা করুক। সেখানে কারও সমস্যা হওয়ার কথা না। যারা সারাজীবন এভাবে কাজ করেছে, তাদের সমস্যা হতে দেখেছেন? যাদের কাজে বিচ্যুতি ঘটে তারাই জবাদিহির আওতায় আসে একদিন না একদিন।'
তিনি বলেন, 'আজ আমরা একটু খুশি। প্রধান উপদেষ্টাও ছিলেন। এনবিআরের বিষয়টি সলভ (সমাধান) হয়েছে, পোর্ট (বন্দর) চালু হয়েছে। আমরা মাঝখানে একটু সমস্যায় ছিলাম। আমি প্রধান উপদেষ্টার কাছে বললাম পরে। বললেন, ঠিক আছে ওরা কথা বলুক, কমিটি করা হয়েছে ওদের সঙ্গে। আমাকে বলল তুমি পরে বসো, এখন না।'
আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রথমত আমি দুদক সম্পর্কে কোনো উত্তর দেব না। ওদের আলাদা টার্ম অব কন্ডিশন আছে। ওটা দরকার হলে আপনি তাদের আলাদাভাবে জিজ্ঞাসা করবেন। ডেফিনেটলি সরকার থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, 'দুদক দেখবে, যদি ফ্যাক্ট থাকে। ভাবতে পারেন এই সময় এটা শুরু করল কেন? শুধু এনবিআরের কেন, আমার কাছে প্রতিদিন দুনিয়ার লোক আসে তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে কেন।'
এনবিআরের কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটু লস (ক্ষতি) হয়েছে, খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গতকাল আমি মিটিং করলাম অনেকক্ষণ। আজও কয়েকজন ব্যবসায়ী ফোন করে বলেছে অনেক লস হয়ে গেছে। এটা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য না। সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু জাতীয় স্বার্থের একটা সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া, বন্দরের সেবা বন্ধ রাখা, এটা কোনো যুক্তিতে গ্রহণযোগ্য না।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, 'আমি বহু আগে বলেছি। কিন্তু পোর্ট বন্ধ করে দেওয়া। এটা তো প্রাইভেট প্রপার্টি না। আমার বিস্কুটের ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিলাম বা আমার কোকা কোলার ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিলাম এমন না। এটা সরকারের বা রাষ্ট্রের বিষয়। ইউ আর পেইড বাই দ্য গভমেন্ট। রাজস্ব আমি কোথা থেকে পাই, এটা বন্ধ করে দেওয়া যায় না। যাই হোক এখন জিনিসটা সলভ হয়েছে। আমি বলব, এটার সল্যুশন ডিফিকাল্ট না। পাঁচজন উপদেষ্টা আছেন, তারা হিয়ারিং করে সলভ করবেন।'