আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট নেই বলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নেই বলে বাংলাদেশে ফেরার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, 'যেহেতু তার বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট নেই, তাই গ্রেপ্তারের প্রশ্নই আসে না। তবে যদি কোনো অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
আজ সোমবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'কিছু কিছু মামলা আছে যেগুলোর কোনো তদন্ত হয়নি। তদন্তে যারা দোষী হয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আপনারাই সবসময় বলেছেন, যেন নির্দোষরা কোনো অবস্থায় সাজা না পায়।
'এজন্য আমাদের তদন্তটা করতে দিন, যদি তদন্তে কেউ দোষী হয় তাহলে কাউকেই আইনের বাইরে রাখা হবে না, তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।'
আজ দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট টিজি-৩৯৯-এ করে ঢাকায় ফেরেন আবদুল হামিদ। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে তার প্রায় ৯০ মিনিট সময় লাগে। এরপর ভোর ৩টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। এ সময় তার ছেলে ও ভগ্নিপতি সঙ্গে ছিলেন।
গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের একটি হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের একজন হিসেবে নাম রয়েছে সাবেক এই রাষ্ট্রপতির। মামলাটি এই বছরের ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় রুজু হয়।
তবে গত ৮ মে তিনি গোপনে থাইল্যান্ডে গেলে দেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
আবদুল হামিদের দেশত্যাগের খবর প্রকাশ্যে আসার পর ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন অতিরিক্ত উপকমিশনারকে দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হয়। একই কারণে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
উপদেষ্টা পরিষদের তিনজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার।
৮ মে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছিলেন, যারা হামিদকে পালাতে সাহায্য করেছেন, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে ব্যর্থ হলে তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন।