ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বেড়েছে গাড়ির চাপ; নির্বিঘ্নে পদ্মা সেতু পার হচ্ছেন দক্ষিণবঙ্গবাসী

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। পদ্মা সেতুর সুবাদে এবারও ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক ও বিড়ম্বনাহীন থাকছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
বুধবার অফিস শেষ হওয়ার পর রাত থেকেই মুন্সীগঞ্জ প্রান্তের এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে, যা বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
ভোর থেকে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি যানবাহনের সারি দেখা গেছে । তবে মাওয়া প্রান্তে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও টোল প্রদান শেষে নির্বিঘ্নেই গাড়িগুলো সেতু অতিক্রম করছে।
দূরপাল্লার বাস ছাড়াও এবার ঈদযাত্রায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ছিল বেশি। প্রচুর মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস নিয়ে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ ছুটে চলেছে নিজ বাড়ির পথে।

ঈদকে কেন্দ্র করে অতীতে দিনের পর দিন নদী পারাপারে দুর্ভোগের কথা স্মরণ করে রাজধানী থেকে মাদারীপুরগামী যাত্রী রাজিন হোসেন বলেন, 'আগে এই সময়ে নদী পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাগত, কখনো কখনো পুরো দিন লেগে যেত। এখন গাড়িতে করেই আরামে চলে যাওয়া যাচ্ছে।'
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদযাত্রার বাড়তি চাপ সামাল দিতে তারা অতিরিক্ত প্রস্তুতি নিয়েছে।
টানা ছুটির এই সপ্তাহান্তে বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার জুড়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশাবাদী, অন্যান্যবারের মতো এবারও পদ্মা সেতু দক্ষিণবঙ্গের মানুষের ঈদযাত্রাকে করবে স্বস্তিদায়ক ও বিঘ্নহীন।