গভীর নিম্নচাপটি ঢাকা পেরিয়ে টাঙ্গাইলে, সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত

সাতক্ষীরা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত গভীর স্থল নিম্নচাপটি উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে আজ সকাল ০৯ টায় টাঙ্গাইল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় নোয়াখালীতে ২৮৫ মিলিমিটার। এছাড়া বরিশালে ১৪১, খেপুপাড়ায় ১৬০, চট্টগ্রামে ১৬৪, চাঁদপুরে ২৪২, কুমিল্লায়১৭৯, মাদারীপুরে ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, নিম্নচাপটি আরো উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝড়িয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে। স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে এবং বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরদিন বুধবার এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে প্রথমে নিম্নচাপ পরে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। গতকাল সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে ১৬৮ মিলিমিটার। রাজধানীতে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
নিম্নচাপের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টির মধ্যে গতকাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় অতি বর্ষণের কারণে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। উঁচু জোয়ারে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ভোলা-পটুয়াখালীসহ কয়েকটি এলাকায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা।