ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: যশোর ও রাজশাহী সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই যশোর ও রাজশাহী সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের যশোর সীমান্ত এবং ৭৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাজশাহী সীমান্তজুড়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে মঙ্গলবার (৭ মে) জানিয়েছেন বিজিবির ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, 'অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং বিজিবি সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।'
যশোরের শার্শা উপজেলার বাসিন্দা আল মামুন বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, 'সীমান্তে পরিস্থিতি এখনো শান্ত। তবে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের উসকানিতে যদি কোনো অনুপ্রবেশ বা চোরাচালানের চেষ্টা হয়, তাহলে আমরা স্থানীয়রা বিজিবির পাশে থাকবো।'
সীমান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধি আলমগীর হোসেন বলেন, 'ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা থাকলেও এখানে এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে আগে বিএসএফ সদস্যরা প্রতি ৫০০ গজে দেখা যেত, এখন তারা প্রতি ৩০০ গজে অবস্থান নিচ্ছে, যা কিছুটা উদ্বেগজনক।'
এদিকে, রাজশাহীর সীমান্ত দিয়ে সোমবার রাতে (৭ মে) অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করা চারজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকিংও করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মাইকিংয়ে কৃষকদের সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মাঠে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় দলবদ্ধভাবে জমায়েত না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া, খাগড়াছড়ির সীমান্ত দিয়ে ৮০ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে। তাদের বাংলাদেশি দাবি করে বিএসএফ সোমবার খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ওই ব্যক্তিদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বিজিবি সূত্র জানায়, খাগড়াছড়ির শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ২৭ জন, তাইন্দং ইউনিয়নের আছালং পাড়া সীমান্ত দিয়ে ২৩ জন এবং রূপসী পাড়া সীমান্ত দিয়ে আরও ৩০ জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, নারী ও শিশুসহ মোট ৮০ জন ভারতীয় নাগরিক মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।