শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে তুসুকা গ্রুপের ছয় কারখানায় ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে তুসুকা গ্রুপের ৬টি তৈরি পোশাক কারখানায় আজ সোমবার থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কারখানার ভেতরে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই উল্লেখ করে তুসুকা গ্রুপের কর্তৃপক্ষ রোববার বিকালে শ্রমিকরা চলে যাবার পর কারখানার প্রধান ফটকে ছুটির নোটিশ দিয়েছে।
সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, তুসুকা জিনস লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিটেড, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড ও তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেড।
কারখানা প্রধান ফটকে সাঁটানো ছুটির নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, কারখানার ভিতরে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ না থাকার কারণে ২১ এপ্রিল সোমবার হতে ২৩ এপ্রিল বুধবার পর্যন্ত ৩ দিন কারখানার সকল কার্যক্রম সাধারণ ছুটি হিসেবে বন্ধ থাকবে।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন দাবিতে তুসুকা গ্রুপের শ্রমিকরা গত শনিবার কয়েক ঘণ্টা কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। পরে শনিবার কারখানার ছুটির পর তারা চলে যায়। শনিবার বিকালে কারখানা মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে কারখানার ফটকে নোটিশ টানিয়ে দেয়। কিন্তু তারপরও শ্রমিকরা গেল রোববার কারখানায় কাজে যোগ দিতে এসে কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার ভিতরে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। কারণে রোববার বিকালে কর্মসূচি পালন শেষে শ্রমিকরা বিকালে চেলে যাবার পর তুসুকা গ্রুপের ছয় কারখানায় ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শ্রমিকদের দাবি, বিজিএমইএ কাঠামো অনুযায়ী বেতন কাঠামোর একশ ভাগ গ্রেডিং করতে হবে, ঈদের ছুটিতে কোনো জেনারেল না কাটানো, বাৎসরিক পিকনিকের আয়োজন করা, উপকার স্বজন প্রীতি বন্ধ করা, কারখানায় যোগদান অনুযায়ী ছুটির টাকা প্রদান করা, বকেয়া যা পাওনা রয়েছে তা চলতি মাসে পরিশোধ করা, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করাসহ আরও বেশকিছু দাবি জানিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন।
তুসুকা গ্রুপের পরিচালক মো. তারেক হাসান বলেন, শ্রমিকরা শনিবার কর্মসূচি পালন করার পরে শনিবার বিকালেই শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তবুও, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পেছনে, বহিরাগতদের ইন্ধন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রতিষ্ঠান ৩ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের সকল দাবি মেনে নেয়ার পরেও শ্রমিকরা শান্ত না হওয়ায় মালিকপক্ষ ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। আমরা কারখানা এলাকায় অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নজর রাখছি। আশা করি শ্রমিকরা সবকিছু বিবেচনা করে ছুটির পরে কাজ যোগ দিবে।