বিএনপি’ই প্রথম স্বৈরাচারের চোখে চোখ রেখে রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছে: তারেক রহমান

বিএনপি'ই সর্বপ্রথম স্বৈরাচার হাসিনার চোখে চোখ রেখে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গতকাল রোববার (১৩ এপ্রিল) রাতে বিএনপি ঘোষিত 'রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা ও নাগরিক ভাবনা' শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'বিএনপি একদিকে আন্দোলন করেছে, আরেক দিকে দেশ গঠনের চিন্তা করেছে। বিএনপি যখন সংস্কারের কথা বলেছে, তখন রাজপথে স্বৈরাচারের সাথে যুদ্ধ করেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'বিএনপি কোনো সুবিধার ভেতরে থেকে সংস্কারের কথা বলেনি।'
তারেক রহমান বলেন, 'আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছে, এরা সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে অর্থাৎ সরকার তাদের গাড়ি দিয়েছে, বেতন-বোনাস, ভাতা দিয়েছে। এসবের ওপর বসে তারা সংস্কারের কথা বলছে।'
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, 'এখন যারা সংস্কারের কথা বলছেন, তাদের মধ্যে কতজন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার চোখে চোখ রেখে কথা বলেছেন, সেই সময় রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলেছেন?'
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দেশজুড়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী যখন কারাবন্দী, লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা এবং তাঁরা যখন হয়রানির শিকার, সেই সময় বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা দিয়েছে।
বিএনপি ক্ষমতায় এলেই জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে দেশে সংস্কার করা হবে বলে উল্লেখ করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, 'হতে পারে আমাদের ভুলত্রুটি আছে, হতে পারে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে, হতে পারে আমাদের মধ্যে কেউ কেউ অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় ক্রেডিট হচ্ছে, কেউ যদি অন্যায় করে থাকে, তাহলে আমরা কোনো ডিনায়ালের [অস্বীকার] মধ্যে নেই।'
বিএনপি দলের ভেতরে অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চেষ্টা করে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, 'আমরা বলেছি, অন্যায়কারী কোনো দলের সদস্য হতে পারে না। অন্যায়কারীর পরিচয় সে অন্যায়কারীই। অন্যায়কারীর সাথে আমরা সম্পর্ক রাখতে চাই না।'
বিএনপির লক্ষ্য এই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা উল্লেখ করে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, 'কিন্তু দল একা পারবে না। আপনাদের সকলকে নিয়েই এই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। কাজেই আপনারা প্রত্যেকটি মানুষ যখন এগিয়ে আসবেন, তখনি আমাদের পক্ষে সম্ভব ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা।'