সিলেটসহ বিভিন্ন শহরে দোকানপাটে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ

সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
সোমবার (৭ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল দেওয়া এ নির্দেশনায় পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, "আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। বাংলাদেশ পুলিশ বর্তমান এ নিয়ে কাজ করছে।"
আইজিপি আরও বলেন, "সরকার কোনো ন্যায়সঙ্গত বিক্ষোভে বাধা দেয় না। তবে প্রতিবাদ কর্মসূচির আড়ালে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।"
এদিকে, চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন শুরুর দিনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলাকে 'ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত' বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
তিনি বলেন, "যখন আমরা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছি, তখন এ ধরনের ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় বিনিয়োগকারী, কিছু বিদেশি বিনিয়োগকারী আছেন—যারা বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রেখেছেন। তারা আমাদের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছিলেন।"
তিনি আরও বলেন, "যারা এই জঘন্য ভাঙচুর চালিয়েছে, তারা দেশের কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার বিরোধী।"
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও হামলা চালানো হয়।
গতকাল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে 'গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা' কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
এরমধ্যে খুলনা, সিলেট, বরিশাল, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে কেএফসি, ডমিনো'স পিৎজা, বাটা, কোকা-কোলা, পিৎজা হাটসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এসব ফুড চেইন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা হয় বলে জানা গেছে।