ঈদ উপলক্ষে ফাঁকা রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করছে ডিএমপি

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে লাখো মানুষ ঢাকা ছাড়ায় রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ইতোমধ্যে ১৫ হাজার পুলিশ সদস্য, ৫০০ সহায়ক বাহিনীর সদস্য এবং ৬০০ টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
সরকার ঘোষিত ৯ দিনের ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে গতকাল শুক্রবার (২৮ মার্চ) থেকে, চলবে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময়ে অধিকাংশ বাসা-বাড়ি ও অফিস ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় বাড়তে পারে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধ। তাই বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করছে ডিএমপি।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, "রাজধানীবাসী যেন নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সেজন্য ১৫ হাজার পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মাঠে কাজ করছে।"
তিনি জানান, ঘরমুখো মানুষের ঢল শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের নিরাপত্তা কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। মার্কেট ও আবাসিক এলাকাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সেখানে পুলিশ ও সহায়ক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আবাসিক এলাকায় টহল বাড়ানোর পাশাপাশি সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশিচৌকি বসানো হচ্ছে।
"ঈদের সময় রাজধানীতে দিনে-রাতে ৬০০টি পুলিশ টহল দল কাজ করবে। ৭৫টি তল্লাশিচৌকি নিয়মিত পরিচালিত হবে। থানার পুলিশ ছাড়াও পিওএম, এপিবিএন, সিটিটিসি ও ডিবি সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন," বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, পুরান ঢাকা ও অন্যান্য এলাকার সোনার দোকানে থাকবে বিশেষ নজরদারি। বিনোদন কেন্দ্র, বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট ও রেলস্টেশনেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, "পূর্ববর্তী ঈদগুলোর অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এই সময় সোনার দোকানে চুরি বা ডাকাতির ঘটনা ঘটে। অনেক সময় নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় এসব অপরাধ সংঘটিত হয়। এবার সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।"
এদিকে ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে নিরাপত্তা রক্ষায় র্যাবও কাজ করবে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, "বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলস্টেশনে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি চালাবে। যেখানে সিসি ক্যামেরা নেই, সেখানে র্যাব সদস্যরা টহল দেবেন, যাতে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধ করা যায়।"