গাজীপুরে তৃতীয় শ্রেণির শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

গাজীপুরের শ্রীপুর থানা এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি মামলাও হয়েছে। গ্রেফতারকৃতকে আজ রোববার (৯ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দরগাচালা গ্রামের শালবনের ভেতর গেল শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণ করে সে দৃশ্য নিজের মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে আরমান নামের এক যুবক। এসময় বনের ভেতর শিশুর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুকে উদ্ধার করে। এসময় ধর্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, শনিবার দুপুরের পর থেকে শিশুটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে শনিবার সন্ধ্যায় বনের ভেতর শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় স্থানীয়রা। পরে বনের ভেতর গিয়ে শিশুসহ আরমানকে দেখতে পায় তারা। এসময় শিশুটি বিস্তারিত বললে স্থানীয়রা আরমানের মোবাইল চেক করে আপত্তিকর ভিডিও দেখতে পায়। পরে এলাকাবাসী আরমানকে গণধোলাই দিয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তার আরমান ময়মনসিংহের পাগলা থানার নিগুয়ারী গ্রামের শামছুলের ছেলে। বিগত কয়েক বছর যাবত শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দরগাচালা (মাঝেরটেক) গ্রামের বন বিভাগের জমিতে কুঁড়েঘরে বসবাস করে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কাজ করতো সে।
নির্যাতনের শিকার শিশু (৮) উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। শিশুটি জানায়, তাকে ধর্ষণ করে সে দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেছে ধর্ষক আরমান। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আরমান স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদকালে জানায়, 'ধর্ষণের পর আমি নিজেই ভিডিও ধারণ করেছি। আমাকে কয়েকজন মিলে ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন করিয়েছে। এজন্য আমার মাথা ঠিক ছিল না।'
নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবা জানান, দুপুর থেকেই তার মেয়েকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তারা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। সন্ধ্যায় বনের ভেতর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে বনের ভেতর থেকে আরমানকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে গণপিটুনি দিলে সে স্বীকার করে কয়েকটি ভিডিও ধারণ করে তার তিন বন্ধুর মোবাইলে পাঠিয়েছে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কর বলেন, ধর্ষক আরমানকে পুলিশি গ্রেপ্তার করার পর রোববার আদালতের মাধ্যেমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার শিশুকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরমান শিশুকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। সে ইয়াবা সেবন করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।