বেনাপোলে সন্ধ্যা ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে: ডিসিসিআই
পূর্ব ঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার উদ্যোগ বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
অবৈধ পণ্যের অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর সকল ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ মন্তব্য করেছে ডিসিসিআই। উল্লেখ্য, দেশের সর্ববৃহৎ এ স্থলবন্দরটি দিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রমের বেশিরভাগ সম্পন্ন হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২০ লাখ ১১ হাজার ২৬৮ ও ৪ লাখ ২১ হাজার ৭১৩ মেট্রিকটন পণ্য।
তাই এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্তের ফলে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে, পাশাপাশি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ রাজস্ব হারাবে বলে মনে করছে ডিসিসিআই।
তারা আরও জানায়, আমদানি-রপ্তানির সময়সীমা সংক্ষিপ্ত হওয়ায় বন্দরের দুপাশে অপেক্ষমাণ অসংখ্য পণ্যবাহী ট্রাকে বিশেষকরে পচনশীল পণ্যদ্রব্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত সার্বিকভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ে লিড টাইম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
অবৈধ পণ্যের অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধকল্পে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, তবে এর ভিত্তিতে সর্ববৃহৎ এ বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার উদ্যোগ কোনো ভাবেই সমীচীন নয় বলে মনে করে ডিসিসিআই। কারণ স্বাভাবিক ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম চলমান থাকলে চোরাচালান হ্রাস পাবে বলে বিশ্বাস করে ঢাকা চেম্বার।
ব্যবসায়িক কার্যক্রমের বিদ্যমান অচলাবস্থার উত্তরণে আরোপিত এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা চেম্বার বন্দর কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছে।
