২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ১৩ শতাংশ

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই–আগস্ট) বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ৬৬৭.১১ মিলিয়ন ডলার।
আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এসময়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ১৩.২১ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে ঋণ পরিশোধ হয়েছিল ৫৮৯.২২ মিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই–আগস্টে ঋণের আসল (প্রিন্সিপাল পেমেন্ট) পরিশোধ হয়েছে ৪৮৮.৭৯ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের ৪১৫.৬২ মিলিয়নের তুলনায় ১৭.৬ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, জুলাই-আগস্টে সুদ পরিশোধ বেড়েছে ২.৭১ শতাংশ। উন্নয়ন সহযোগীদের সরকার সুদ বাবদ পরিশোধ করেছে ১৭৮.৩২ মিলিয়ন ডলার, যেখানে গত বছরের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল ১৭৩.৬০ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্চের শেষ থেকে জুনের শেষ পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৭.৩৫ বিলিয়ন ডলার, যার বড় অংশই প্রবাহিত হয়েছে সরকারি খাতে।
অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একাধিক দাতা সংস্থার কাছ থেকে অর্থ ছাড় পাওয়াই সরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণ প্রবৃদ্ধির মূল কারণ।
তাঁরা বলছেন, সরকারি খাতে নেওয়া বৈদেশিক ঋণ অবশ্যই কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হবে। কারণ এ ঋণের বড় অংশই সরকারি প্রকল্পে ব্যয় করা হচ্ছে। এসব অর্থ উৎপাদনশীলতা বাড়াতে না পারলে, বা রাজস্ব আয় তৈরি করতে ব্যর্থ হলে ঋণ আশীর্বাদ না হয়ে বরং বোঝায় পরিণত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।