ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

ট্রাম্প প্রশাসনের পাল্টা (রেসিপ্রোকাল) শুল্ক চালুর মধ্য দিয়ে আজ বৈশ্বিক বাণিজ্যব্যবস্থায় এক নজিরবিহীন পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করল বিশ্ব—যা দীর্ঘদিন ধরে GATT/WTO কাঠামোর মূল স্তম্ভ হিসেবে থাকা মোস্ট ফেভারড নেশন (এমএফএন) নীতির অবসানের ইঙ্গিত বা অন্তত উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই নীতির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র তার বিভিন্ন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পাল্টা শুল্কহার আরোপ করছে এবং নির্দিষ্ট পণ্যের ক্যাটাগরির ওপর শুল্কহারও ওঠানামা করছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বিজয়ী ও পরাজিত দেশ নির্ধারণ করা দিনকে দিন কঠিন হয়ে উঠছে। একইসঙ্গে বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশ হয়ে উঠছে আরও অস্থির ও অনিশ্চিত।
বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই পরিবর্তন বিশাল চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। কারণ এমন এক অনিশ্চিত ব্যবস্থায় এই দেশগুলো কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। নতুন এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যনীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে হবে—যাতে নতুন বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় নিজেকে নিরাপদ অবস্থানে রাখতে পারে।
- ড. সেলিম রায়হান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) নির্বাহী পরিচালক
- [লেখাটি ড. সেলিম রায়হানের ফেসবুক থেকে নেওয়া]