Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Thursday
June 05, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
THURSDAY, JUNE 05, 2025
দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে নারীকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়

মতামত

শাহানা হুদা রঞ্জনা
24 January, 2025, 08:00 pm
Last modified: 26 January, 2025, 12:35 pm

Related News

  • ছেলের বিলাসবহুল ছুটি কাটানো ঘিরে বিতর্ক, পদত্যাগ করলেন মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
  • নারীর অবৈতনিক কাজের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার ঘোষণাকে এমজেএফ-এর স্বাগত
  • রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর ১৩ বিও অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ
  • জব্দ করা চুরির অর্থ-সম্পদ সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করবে সরকার: গভর্নর
  • রাজস্ব ব্যবস্থা নির্বাহী বিভাগের করায়ত্ত হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে: টিআইবি

দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে নারীকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়

অনেক ক্ষেত্রে স্ত্রীদের এ বিষয়ে কোনো ধারণা থাকে না, আবার কিছু ক্ষেত্রে তারা এ সম্পর্কে অবগত ও সম্মত থাকেন। এ ধরনের প্রবণতার ফলে দুর্নীতির দায় নারীর ওপর বর্তায়।
শাহানা হুদা রঞ্জনা
24 January, 2025, 08:00 pm
Last modified: 26 January, 2025, 12:35 pm
শাহানা হুদা রঞ্জনা। স্কেচ: টিবিএস

স্বামীর অতিরিক্ত আয়ের হিসাব-নিকাশ শুরু হলেই স্পষ্ট হয় যে স্ত্রীর জন্য স্বামীর সবধরনের আয় হালাল নয়। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষের দুর্নীতির দায় নারীকে নিতে হচ্ছে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ আয় ও সম্পদের দায় স্ত্রী, সন্তান এবং মায়ের ঘাড়ে চাপিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত পুরুষ নিরাপদ থাকতে চান। অন্যদিকে, নারীদের একটি বড় অংশ এ বিষয়ে সচেতন না হয়ে স্বামীর আয়কে হালাল ধরে নিয়ে তা ভোগ করেন। কেউ কেউ মনে করেন, স্বামীর আয় স্ত্রীর জন্য হালাল, তাই এর উৎস জানার প্রয়োজন নেই। আবার অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সম্পদের মালিকানা কাগজে-কলমে স্ত্রীর নামে থাকলেও তা ব্যবহারের অধিকার থাকে না।

২০২৪ সালে প্রথম আলো একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, 'গৃহিণীদের ব্যাংক হিসাবে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের চেয়ে বেশি অর্থ গচ্ছিত আছে।' খবরে দেখা যায়, পাঁচ বছরে গৃহিণীদের ব্যাংক হিসাবে আমানত প্রায় ৬৯ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গৃহিণীদের আমানতে প্রবৃদ্ধি ব্যবসায়ী, প্রবাসী, শিল্পপতি, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও আইনজীবীদের তুলনায় বেশি। প্রশ্ন হচ্ছে, সংসারে সারাদিন কাজ করা ও সম্মানবঞ্চিত গৃহিণীরা কোন জাদুবলে এত সঞ্চয় করছেন?

উত্তর একটাই—দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ও সম্পদ রক্ষার্থে বা আইনকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য পুরুষরা তাদের আয়ের উৎস গোপন করে স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পত্তি রাখেন। উদাহরণস্বরূপ, চট্টগ্রাম ওয়াসার গাড়িচালক মো. তাজুল ইসলামের স্ত্রী, যিনি একজন গৃহিণী, পাঁচতলা বাড়ির মালিক এবং তার নামে রয়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তথ্য অনুযায়ী, তাজুল তার অবৈধ আয়ের মাধ্যমে এসব সম্পদের মালিক হয়েছেন। তদন্তে দেখা গেছে, তার স্ত্রীর কোনো আয়ের উৎস নেই এবং তাকে পোলট্রি খামারি হিসেবে দেখানো হয়েছিল।

অনেক ক্ষেত্রে স্ত্রীদের এ বিষয়ে কোনো ধারণা থাকে না, আবার কিছু ক্ষেত্রে তারা এ সম্পর্কে অবগত ও সম্মত থাকেন। এ ধরনের প্রবণতার ফলে দুর্নীতির দায় নারীর ওপর বর্তায়। অবৈধ সম্পদের হিসাব দেওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হন।

হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, রাজনীতিক ও আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে উঠে আসা তথ্যেও দেখা গেছে, তাদের অবৈধ সম্পত্তির মালিকানা স্ত্রীর নামে। একই প্রবণতা ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেও লক্ষ করা যায়। তাই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর নাম ও ছবি প্রায়ই সংযুক্ত হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিতি সানজানা উল্লেখ করেছেন, 'অনেকেই আয়বহির্ভূত এসব অর্থসম্পদ কেনেনও স্ত্রীর নামে। দুর্নীতির অপরাধে কখনো এই তথ্য প্রকাশ পেলে স্ত্রীর নাম ও ছবি ছাপা হয় স্বামীর সঙ্গে। স্বামীর দুর্নীতি বা অপরাধের সাথে স্ত্রীর কোন যোগ না থাকলেও, স্ত্রী হয়ে ওঠেন স্বামীর ঢাল। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ও সম্পদ রক্ষা করার উদ্দেশ্যে আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অর্জিত সম্পত্তি নিজের নামে না রেখে পরিবারের অন্য সদস্য বা স্ত্রীর নামে রাখার কৌশল অবলম্বন করা আইনের চোখে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্ত্রী জানুন বা না জানুন, মানি লন্ডারিংয়ের ক্ষেত্রে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ বা সম্পদ গোপন করা বা লুকানোর উদ্দেশ্যে সম্পদের রূপান্তর বা হস্তান্তর করা হয়।'

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, 'দুর্নীতির অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে নারীকে দুর্নীতির শিকার, সংঘটক, মাধ্যম এবং দুর্নীতির সুবিধাভোগীসহ বিভিন্ন ভূমিকায় দেখা যায়। দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ আয় ও সম্পদ অর্জনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর কোনো রকম সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও নারীকে অপরাধের দায় নিতে হয়। এক্ষেত্রে পুরুষতান্ত্রিক আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট, নারীর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা, পরিবারের প্রতি নারীর সহমর্মী মনোভাব, দুর্নীতিপরায়ণ মানসিকতা ইত্যাদি এ ঝুঁকি বিস্তারে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।'

দেশের অর্থনীতিতে নারীর কাজের কোনো মূল্যায়ন নেই। নারী তার সময়ের একটা বড় অংশ বাজারকেন্দ্রিক কাজের চেয়ে পরিবারকেন্দ্রিক কাজে বেশি ব্যস্ত থাকেন। নারীর এই বিনামূল্যের সেবামূলক ও গৃহস্থালি কাজগুলোকেই 'অ-অর্থনৈতিক' কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই অস্বীকৃত এবং অদৃশ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, রান্না, শিশুযত্ন, বয়স্ক মানুষের যত্ন ইত্যাদি। এর সাথে আরও আছে কৃষিকাজ, গবাদিপশুর দেখাশোনা ও বীজ সংরক্ষণ।

অর্থনীতিবিদরা দেখিয়েছেন, দেশে ৪৩ শতাংশের বেশি নারী পুরোপুরিভাবে গৃহস্থালি কাজের সাথে যুক্ত, অন্যদিকে এই কাজে যুক্ত পুরুষের সংখ্যা ১ শতাংশেরও কম। এই কাজগুলো কোনো অর্থনৈতিক লেনদেন বা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশা ছাড়াই গৃহিণীরা করে থাকেন। তাই স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে, হঠাৎ এমন কী ঘটলো যে গৃহিণীদের নামে ব্যাংকে এত টাকা জমা হচ্ছে? নারী তার গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের জন্য সম্মানিত হচ্ছেন না, অথচ অবৈধ আয়ের ভার তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখানে গৃহিণীকে সম্মান না দিয়ে, স্ত্রী হিসেবে তার পরিচয়টাকে ব্যবহার করছেন দুর্নীতিপরায়ণ স্বামী। সংসারের সব দায়িত্ব পালন করার জন্য এনারা স্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন না, কৃতজ্ঞতা জানান না, মর্যাদা, ভালোবাসা ও সম্পত্তিতে মালিকানা দেন না। কিন্তু চুরির টাকার বা বাড়তি কালো টাকার দায় চাপিয়ে দেন।

এই কথারই প্রতিধ্বনি করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, গৃহিণীদের ব্যাংক হিসাবে থাকা আমানতের পরিমাণ অস্বাভাবিক। 'গৃহিণীদের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা বেশ ভালো। সংসারের ব্যয়ের ক্ষেত্রে তারা দক্ষতার পরিচয় দেন। প্রতি মাসের সঞ্চয় থেকে তারা ব্যাংকে কিছু অর্থ জমা রাখতে পারেন। কিন্তু যে পরিমাণ অর্থ গৃহিণীদের নামে ব্যাংকে জমা আছে, সেটি একেবারেই অস্বাভাবিক। কোনোভাবেই গৃহিণীদের ব্যাংক হিসাবে লাখ লাখ কোটি টাকা জমা থাকা সম্ভব নয়। তার মানে কর ফাঁকি দেওয়া কিংবা কালো টাকা জমা রাখার জন্য গৃহিণীদের ব্যাংক হিসাব ব্যবহার হচ্ছে। এটি একেবারেই পরিষ্কার। এজন্য কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই।'

তাহলে এ ঝুঁকি নিতে পরিবারের নারী সদস্য কেন বাধা দেন না, আপত্তি তোলেন না এবং অস্বীকার করেন না? দুর্নীতি করার ইচ্ছা ছাড়াও অনেক সময় নারী শুধু সচেতনতার অভাবে বা স্বামীর চাপে পড়ে অথবা না জেনেই এ অপরাধের অংশীদার হয়ে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ দুর্নীতি বুঝেন ঠিকই, কিন্তু স্বামীর ওপরে কোনো কথা বলতে পারেন না। পারিবারিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নারীর মতামতের কোনো মূল্য নেই বলে বেশিরভাগ নারীই এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারছেন না। তবে একথাও সত্য যে স্বামীর আয়ে ধনী হচ্ছেন, বড় বাড়িতে থাকছেন, বড় গাড়িতে চড়ছেন, অবাধে কেনাকাটা করছেন, বিদেশে বেড়াতে যাচ্ছেন—এই সুখেও অনেক স্ত্রী ও সন্তান এগুলো মেনে নেন। তারা বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করে কিন্তু জানতে চান না, তার বাবা বৈধ বেতন-ভাতা থেকে এত সম্পদের মালিক হলো কেমন করে?

ধনী ব্যবসায়ী, পুলিশ, রাজনীতিক, আমলাসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর স্ত্রীদের একটি অংশ বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের সাথে যুক্ত। এরা শিক্ষিত, চাকরিজীবী ও পেশাজীবী। নারীর লৈঙ্গিক সমতা ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে কল্যাণমূলক কাজ করেন। তবে এরা প্রায়ই স্বামীর অতিরিক্ত আয়ের উৎস নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেন না বা তা জানতে চান না। টিআইবি জানিয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বামীর অবৈধ সম্পদ বা আয়ের উৎস সম্পর্কে স্ত্রীদের জিজ্ঞেস করা হলে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা সঠিকভাবে জবাব দিতে ব্যর্থ হন এবং আইনি জটিলতার সম্মুখীন হন। অনেক সময় দেখা যায়, স্ত্রীকে রক্ষার বদলে স্বামী নিজেকে বাঁচাতে দাবি করেন যে, স্ত্রীর সম্পদের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। আবার, কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীকে রক্ষার জন্য বা সম্পদ বাজেয়াপ্ত হওয়া ঠেকাতে নিজের দায় স্বীকার করেন। যদি স্ত্রী দাবি করেন যে তিনি নিজের নামে থাকা সম্পদের ব্যাপারে কিছু জানেন না, তবু তাকে অবৈধ সম্পদ রাখার সহযোগী হিসেবে মামলার আসামি করা হয় এবং অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বিভিন্ন সংস্থার গবেষণা ও জরিপ বলছে, দেশের প্রায় ৭৪ শতাংশ নারীর কাছে এখনো ব্যাংকিং সেবা পৌঁছায়নি। পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও নারী বৈষম্যের শিকার বলে অভিযোগ রয়েছে। এই বৈষম্যের বিপরীতে একটি ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে ব্যাংকে গৃহিণীদের গচ্ছিত আমানতের ক্ষেত্রে। দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ২০২৩ সালের শেষে গৃহিণীদের নামে জমা ছিল ২ লাখ ১ হাজার ৮৪২ কোটি টাকার আমানত। এটি দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের আমানতের চেয়েও বেশি (সূত্র: বণিক বার্তা)।

ব্যাংকে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২ লাখ ৯২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার আমানত রয়েছে চাকরিজীবীদের। তবে ব্যক্তিশ্রেণীর আমানতের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গৃহিণীরা। গৃহিণীরা ব্যক্তিশ্রেণীর মোট আমানতের ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশের মালিক। অথচ গৃহিণীদের নিজস্ব আয়ের সুযোগ খুবই সীমিত। তাহলে ব্যাংকে জমা থাকা বিপুল অঙ্কের আমানতের পেছনে তাদের নিজের সঞ্চয়ের ভূমিকা কতটুকু? রিপোর্ট অনুযায়ী, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত গৃহিণীদের আমানতের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। বাকি দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি আমানত উচ্চবিত্ত গৃহিণীদের, যাদের স্বামীরা পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বা উচ্চ পর্যায়ের চাকরিজীবী। এই টাকার বড় অংশ অবৈধ আয়ের ফসল বলে ধারণা করা হয়।

২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ৭০ শতাংশ নারীর সম্পদের ওপর মালিকানা নেই। ফলে তারা পরিবারের পুরুষ সদস্যদের ওপর নির্ভরশীল। ২৯ শতাংশ নারী উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদ পেয়েছেন, আর মাত্র ১ শতাংশ নারী নিজের উদ্যোগে সম্পদ অর্জন করলেও পরে তা হারিয়ে ফেলেন।

এই তথ্যগুলো থেকে স্পষ্ট, ব্যাংকে গচ্ছিত বিপুল অঙ্কের টাকা চাকরিজীবী, কৃষাণী, বা ব্যবসায়ী নারীদের নয়। এটি সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের নামে-বেনামে গচ্ছিত অর্থ। আমাদের সমাজে নারী স্বামীর পরিচয়ে পরিচিত হতে গর্ববোধ করেন—এটা ভালো। তবে স্বামীর অবৈধ আয়ের দায়ভারও কি নারী গর্বের সঙ্গে বহন করেন?

তবে এটাও সত্য যে অধিকাংশ নারী সংশ্লিষ্ট আইন ও আইনি সুরক্ষার বিষয়ে অবগত নন। এই না-জানার কারণে তারা ঝুঁকির মুখে পড়েন। এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে নারীর ক্ষমতায়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্তর্ভুক্তি, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানো জরুরি। আমাদের সমাজ নারীকে দুর্বল ও শোষণযোগ্য হিসেবে শেখায়। তাই অপরাধ ও দুর্নীতি আড়াল করার ঢাল হিসেবে নারীকে ব্যবহার করা হয়। নারীকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের শাস্তি এবং আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। পুরুষের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে নারীদেরই, যাতে অজ্ঞাতসারে জড়িয়ে পড়লেও তাদের সেই দায়ভার বহন করতে না হয়। সমাজের এই প্রথা ভাঙতে হলে নারীকে নিজেদের রক্ষার পথ খুঁজতে হবে এবং ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার অবসান ঘটাতে হবে।


শাহানা হুদা রঞ্জনা: যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক

বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিবন্ধের বিশ্লেষণটি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও পর্যবেক্ষণের প্রতিফলন। অবধারিতভাবে তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর অবস্থান বা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।

Related Topics

টপ নিউজ

নারী / দুর্নীতি / অবৈধ আয় / সম্পদ / অবৈধ সম্পদ অর্জন

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • নিরাপত্তা উদ্বেগে ১২ দেশের নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা
  • আঞ্চলিক পরমাণু জোট নিজ দেশে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করবে ইরান
  • ডিজিটাল ওয়ালেটের লাইসেন্স পেল গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিষ্ঠান 'সমাধান'
  • টাকার নতুন নোটের খোলাবাজারে দ্বিগুণ মূল্য, গ্রাহক হয়রানি চরমে
  • দোকানে হানা দিলো হাতি, খাবার খেয়ে ‘টাকা না দিয়েই’ পালালো!
  • সাভার ট্যানারির কঠিন বর্জ্য থেকে জেলাটিন ও শিল্প প্রোটিন গুঁড়া উৎপাদন করবে চীনা কোম্পানি

Related News

  • ছেলের বিলাসবহুল ছুটি কাটানো ঘিরে বিতর্ক, পদত্যাগ করলেন মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
  • নারীর অবৈতনিক কাজের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার ঘোষণাকে এমজেএফ-এর স্বাগত
  • রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর ১৩ বিও অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ
  • জব্দ করা চুরির অর্থ-সম্পদ সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করবে সরকার: গভর্নর
  • রাজস্ব ব্যবস্থা নির্বাহী বিভাগের করায়ত্ত হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে: টিআইবি

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

নিরাপত্তা উদ্বেগে ১২ দেশের নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা

2
আন্তর্জাতিক

আঞ্চলিক পরমাণু জোট নিজ দেশে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করবে ইরান

3
বাংলাদেশ

ডিজিটাল ওয়ালেটের লাইসেন্স পেল গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিষ্ঠান 'সমাধান'

4
অর্থনীতি

টাকার নতুন নোটের খোলাবাজারে দ্বিগুণ মূল্য, গ্রাহক হয়রানি চরমে

5
অফবিট

দোকানে হানা দিলো হাতি, খাবার খেয়ে ‘টাকা না দিয়েই’ পালালো!

6
অর্থনীতি

সাভার ট্যানারির কঠিন বর্জ্য থেকে জেলাটিন ও শিল্প প্রোটিন গুঁড়া উৎপাদন করবে চীনা কোম্পানি

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net