Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
June 14, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, JUNE 14, 2025
বঙ্গবন্ধুর ছবি: নেপথ্যের আলোকচিত্রীরা  

মতামত

কামরুল হাসান মিথুন   
17 March, 2021, 10:55 am
Last modified: 17 March, 2021, 11:28 am

Related News

  • শুরু হলো শোকের মাস
  • বেদনায় ভরা দিন
  • বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ
  • “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২১” এর সেরা ২৬ স্টার্টআপ পাচ্ছে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা অনুদান

বঙ্গবন্ধুর ছবি: নেপথ্যের আলোকচিত্রীরা  

তখন জুম করে ছবি তোলার প্রযুক্তি ছিল না। আলোকচিত্রীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কও সহজ আর আন্তরিক ছিল। ছবিগুলোই বলে দেয়, সেই সময়ের আলোকচিত্রীরা একজন জাতীয় নেতার কতটা কাছে যেতে পেরেছিলেন।
কামরুল হাসান মিথুন   
17 March, 2021, 10:55 am
Last modified: 17 March, 2021, 11:28 am
আলোকচিত্র শিল্পীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু, ১১ মার্চ ১৯৭১। (এই তেরো জন বাদে দেশ বিদেশে বহু আলোকচিত্রী বঙ্গবন্ধুর কাছাকাছি এসেছেন, তার ছবি তুলেছেন, ঐতিহাসিক মুহূর্তের সচিত্র দলিল রচনা করেছেন, আমাদের কাছে রেখে গেছেন বঙ্গবন্ধুর দুর্লভতম মুহুর্তগুলো। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এইসকল আলোকচিত্রীরা আমাদের ইতিহাসের খাতার বাহিরে রয়ে গেছেন। তাদের ছবি আমরা ব্যবহার করি কিন্তু তাদের নাম কোথাও দেখি না। তাদেরকে নতুন প্রজন্ম জানে না!)

আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ কী?

নিশ্চিতভাবে এর একটাই উত্তর, মুক্তিযোদ্ধা হতে না পারা। আমি হয়ত চাইলে অনেক কিছুই হতে পারতাম, হতে পারব। কিন্তু আমার আর কখনোই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া হবে না। আমি জন্মেছি একটা স্বাধীন দেশে। প্রথম শ্বাস নিয়েছি মুক্ত বাতাসে। জন্মের পর আমার ফুসফুস যাতে মুক্ত অক্সিজেন পায়, সেজন্যই তো মুক্তিযুদ্ধ। সব ভেদাভেদের বেড়া ডিঙিয়ে দেশের আপামর মানুষ আগে পিছে কিছুই না ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল একটা অসম যুদ্ধে। বিশ্বের অন্যতম সেরা, প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। বড় বড় বিশ্বনেতাদের আগাম ভবিষ্যদ্বাণী আর সম্ভাবনার সমস্ত সমীকরণ মিথ্যে করে প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করে জয়ী হয়েছিল ওই সাধারণ মানুষেরা। কেবল দেশপ্রেমকে সঙ্গী করে অসাধ্য সাধন করে কী ইতিহাস ঘটিয়ে ফেলা যায়, তার উজ্জ্বলতম উদাহরণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধা হতে না পারা আমি সবসময়ই চেয়েছিলাম একজন আলোকচিত্রী হতে। তাই স্বাভাবিকভাবেই মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্রীদের নিয়ে আমি কৌতূহলী। বঙ্গবন্ধুর আলোকচিত্র তার একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। 

বোধের শুরু থেকেই ছেলেবেলা আর বড়বেলা একাকার হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে সঙ্গী করে। আমাদের জীবনে মুক্তিযুদ্ধ এসেছে আলাপে, অক্ষরে, ভিডিও বা ছবি হয়ে। জ্ঞানের শুরু থেকেই জেনে আসছি, মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিতে না পেরেও এইযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কাঠিন্য আর সারল্যের সমসতত্ত্ব মিশ্রণে,ব্যক্তিত্বে, বুদ্ধিমত্তা আর দুরদর্শিতায় তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি। তার এক তর্জনী কোটি মানুষকে দিয়েছিল সঠিক পথের দিশা, দেখিয়েছিল স্বাধীনতার পথ। স্বপ্ন দেখিয়েছিল নতুন ভোরের। সেই ভোরের সূর্য নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর ধ্বংসাবশেষের ছাই থেকে হয়ে ওঠে পতপত করে উড়তে থাকা স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার লাল।   

আলোকচিত্র : আমানুল হক

আমার কাছে একটা ছবি হাজার শব্দ বা একটা পারমাণবিক বোমার চেয়ে শক্তিশালী। একটা ছবি হতে পারে একটা ইতিহাসের সাক্ষী। একটা ছবি নীরবে চিৎকার করে জানান দেয় যুদ্ধের ভয়াবহতার কথা। মৃদু আওয়াজে কানে কানে বলে যায় যুদ্ধের মানবিক গল্প। একটা ছবি বুঝিয়ে দেয় রাজনীতির চাল। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ। আমার কাছে এই তিনটা আলাদা আলাদা শব্দের যেন একটাই অর্থ। একজন আলোকচিত্রী হিসেবে আমি যখনই বঙ্গবন্ধুর কোনো না কোনো ছবি দেখতাম, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তার ক্যাপশন পড়তাম। কিন্তু বেশীরভাগ সময় ছবিটি কোন সময়ের, কোন জায়গার, কোন প্রেক্ষাপটের ছবি, সেগুলো লেখা থাকত না। থাকত না আলোকচিত্রীর নাম। যেন ছবিটি কেউ তোলেনি, এমনি এমনিই হয়েছে। ইতিহাস আর আলোকচিত্রীর প্রতি এই নির্লিপ্ত অবহেলা আমাকে প্রতি বেলায় গলায় আটকে থাকা মাছের কাটার মতো বিদ্ধ করেছে। বঙ্গবন্ধুর মতো একজন ব্যক্তিত্বের বেশীরভাগ ছবির ক্যাপশনে লেখা থাকে একটা দায়সারা শব্দ। 'সংগৃহীত'। কোত্থেকে সংগৃহীত সেটি জানানোরও দায় সারেননি কেউ। অবশ্য এর পেছনে রয়েছে সুদীর্ঘ রাজনীতি। একদল দীর্ঘ সময় ক্ষমতার চেয়ারে বসে মুছে ফেলতে চেয়েছে বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব। তাই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জড়িত সবকিছু ধ্বংস করে জাতিকে স্মৃতিভ্রষ্ট করে দেবার অপচেষ্টা চলেছে। তারা যে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, তা বলা যাবে না। কেননা, ইতিহাসের অনেকখানিই নেই ইতিহাসের পাতায়। সত্যের সঙ্গে ভেজালের মতো মেশানো হয়েছে মিথ্যা। বিকৃত হয়েছে সত্য তথ্য। অসহায়ের মতো বিচ্ছিন্নভাবে পড়ে থাকছে অসম্পূর্ণ, অপূর্ণাঙ্গ তথ্য। যা কোন সম্পূর্ণভাব প্রকাশে ব্যর্থ।

মুক্তিযুদ্ধের ওপর 'ওয়াইড শট' ধরে আরও স্পেসিফিক হয়ে আমি প্রথমিকভাবে 'স্পেসিফিক শটে' বঙ্গবন্ধুর বহুল ব্যবহৃত আর তাৎপর্যপূর্ণ ছবিগুলোর আলোকচিত্রীদের খুঁজে বের করতে চাই।  ইতিমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। একদিন, দুদিন করে চলে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী আর স্বাধীনতার ৫০তম বছর। আমরা এই মুহূর্তে যে সময়ে দাঁড়িয়ে আছি এটিই বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কুড়িয়ে সংরক্ষণের একেবারে শেষ প্রান্ত। আগামী এক বা সর্বোচ্চ দুই দশকের ভেতর বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ভিতর যারা বেঁচে আছেন, তাদের অনেকেই থাকবেন না। ইতিহাস উদ্ধার বা পুনরুদ্ধার করার মতো 'প্রাইমারী সোর্স' অবশিষ্ট থাকবে না। তাই এই শেষ সময়টুকু কাজে লাগানোর বিকল্প নেই। মুক্তিযুদ্ধের ঝাপসা হয়ে যাওয়া, নানা কিছুর আড়ালে চাপা পড়া ইতিহাস পুনরুদ্ধার করার এটাই শেষ সময়। মুক্তিযোদ্ধা হতে না পারা আমার আলোকচিত্রী হৃদয়ের দাবি, মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্রীদের নামগুলো অন্তত স্বীকার করা হোক। নামগুলো ফুটে উঠুক ছাপার অক্ষরে।

আলোকচিত্র : নাইব উদ্দিন আহমেদ

আজকের প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে চিনেছে তার ছবি দেখে। অথচ যারা বিভিন্ন ঐতিহাসিক মুহূর্তে সেই ছবিগুলো তুলেছেন, সময়টাকে বরফের মতো জমিয়ে ফেলে যুগের পর যুগ ধরে চোখে আঙুল দিয়ে লাখো মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ আর ইতিহাসকে, তাদের নাম লেখা হয়নি কোনো অক্ষরে! একটা গল্প বা প্রবন্ধ মিথ্যা কথা বলতে পারে, একটা আঁকা ছবি হতে পারে কাল্পনিক, কিন্তু একটা ছবি বা স্থিরচিত্র সবসময় সব অবস্থায় সত্যি কথা বলে। ছবির সঙ্গে সেই আলোকচিত্রীদের নাম থাকবে, এটা তাদের একান্ত অধিকার, ন্যূনতম প্রাপ্য। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ধরে আলোকচিত্রীদের সেই ন্যায্য পাওয়া থেকে নিতান্ত অবহেলায় বঞ্চিত করা হয়েছে। ঐতিহাসিক ছবিগুলোর আলোকচিত্রীরা 'অজ্ঞাত'হয়ে থাকছেন! আমরা আটকা পড়ছি 'ঐতিহাসিক অজ্ঞাতনামায়'। সেখান থেকে বের হতে হলে জমাট বাঁধা সময় আর ষড়যন্ত্রের ধুলা সরিয়ে সঠিক ইতিহাস তুলে আনতে হবে। 

আলোকচিত্র : আমানুল হক

যে সময় আলোকচিত্রীরা বঙ্গবন্ধুর ছবি তুলতেন, তখন ছবি তোলা আজকের মতো একটা ক্লিকের বিষয় ছিলো না। সময়টা ছিল ডিজিটাল যুগ থেকে বেশ কয়েক কয়েক দশক পেছনের। পারিবারিক, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক আর প্রযুক্তিগত— সবদিক থেকে ছবি তোলা ছিল ঝক্কির কাজ। সরাসরি ভিউফাইন্ডারে চোখ রাখা যেতো না। ঘাড় নীচু করে সীমিত ফিল্মরোলে ছবি তুলতে হতো। ফিল্ম রোলের দাম ছিল বেশীর ভাগ ফটোগ্রাফারের সাধ্যের বাইরে। আবার সেখানে ছবি তোলার সংখ্যাও ছিল নির্দিষ্ট। ছবির তোলার সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু কাজ শেষ না। সেই ছবি নেগেটিভ থেকে পজেটিভ করা, সেই ছবি প্রিন্ট করা। আবার সেই নেগেটিভ একটা নির্দিষ্ট পরিবেশে সংরক্ষণ করা। এত সবকিছু সহজ ছিল না। আজকের ফটোসাংবাদিকদের অনেকেই পুরো বিষয়টা কল্পনা করেই ক্লান্তিবোধ করবেন।   

" ৬ দফা আমাদের বাঁচার দাবী " ১৮– ২০ মার্চ ১৯৬৬ সাল আওয়ামী লীগের তিনদিনব্যপী কাউন্সিল অধিবেশন । স্থান : হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণ, মতিঝিল, ঢাকা। উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসেবে গাওয়া হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি...' (বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত) ৬ দফা'র মঞ্চসজ্জা ও লোগো করেছিলেন শিল্পী হাশেম খান। আলোকচিত্র : আফতাব আহমেদ ("১৯৬৬ সালের ১৮ই মার্চ ঢাকায় "ইডেন হোটেল" প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে "আমাদের বাঁচার দাবী" শিরোনামে শেখ মুজিবের ৬–দফার দাবি পুস্তিকাকারে প্রচার করা হয়। এর ফলে আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মীদের মধ্যে অভূতপূর্ব প্রাণচাঞ্চল্য ও অনুপ্রেরণার সৃষ্টি হয়। উক্ত কাউন্সিল অধিবেশনে ৬–দফার প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন ব্যক্ত করে সমবেত কাউন্সিলরগণ শেখ মুজিবকে সভাপতি ও তাজউদ্দিন আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করেন।")

বঙ্গবন্ধুর ছবিগুলোর দিকে তাকালে বোঝা যায়, সেগুলো তোলা হয়েছে- হাত বাড়ালেই তাকে ছোঁয়া যায়, এমন দূরত্ব থেকে। কেননা, তখন জুম করে ছবি তোলার প্রযুক্তি ছিল না। আলোকচিত্রীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কও সহজ আর আন্তরিক ছিল। ছবিগুলোই বলে দেয়, সেই সময়ের আলোকচিত্রীরা একজন জাতীয় নেতার কতটা কাছে যেতে পেরেছিলেন। কিন্তু সেই মানুষদের যথাযথ স্বীকৃতি দিতে পারিনি আমরা। মূল্যায়ন করতে পারেনি ইতিহাস। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমার এই দায়বদ্ধতা নিজের কাছে। একটা সাদাকালো ছবি  দেখেছিলাম। ছবিতে ছিলেন ১৩ জন আলোকচিত্রী। আর তাদের মধ্যমনি হয়ে ছিলেন সেই সময়কার রাষ্ট্রপ্রধান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একজন রাষ্ট্রপ্রধান আলোকচিত্রীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। এর ফলে তিনি আলোকচিত্রশিল্পকে জাতীয়ভাবে সম্মান দিলেন। সম্মান দিলেন ইতিহাসকে ক্যামেরার ফিল্মে আটকে ফেলা সেই মানুষগুলোকে। এই ছবিটা দেখে আমার মনে হয়েছিল, আমি এই ফ্রেমের সমস্ত মানুষগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতে চাই। জানতে চাই। তাদের কাছ থেকে ওই সময়টাকে বুঝতে চাই। কেননা, সামনে আগানোর জন্য তো পেছনটা জানা জরুরি। আর যারা সময়টা পরম মমতায় বন্দী করেন 'জাদুর বাক্সে', তাদেরকে অস্বীকার করে, আগ্রাহ্যকরে, অসম্মান করে অসম্পূর্ণতা নিয়ে আগাতে গেলে পদে পদে হোঁচট খাওয়া অবধারিত।

" এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম "। ৭ মার্চ ১৯৭১ । রমনার রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)। আলোকচিত্র : রশীদ তালুকদার

মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্রীদের খুঁজে বের করে তাদেরকে নতুন করে পরিচিত করানো এবং যথাযোগ্য সম্মান জানানো আমাদের কর্তব্য। তাদের কাজের প্রাপ্য সম্মান ও সম্মানী তাদের উত্তরসূরীদের হাতে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব রয়ে যায় নতুন প্রজন্মের কাছে। তাদের আর আমাদের মাঝে সময়ের মাকড়শা জাল বুনেছে। সে সমস্ত জাল ছিঁড়েই আমাদের অজানা ইতিহাস বের করে আনতে হবে। বের করে আনতে হবে ইতহাসের সঙ্গে জড়িত মানুষদের। সেইসব সত্যকে সঙ্গী করে সামনে তাকাতে হবে। তারা তো কেবল আলোকচিত্রী নন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। তাদের রাইফেলের নাম ক্যামেরা। বাঙালির মহান নেতার কাছে থেকে যারা তার ছবি তুলে বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন, পোস্টার, ব্যানার আর ভাস্কর্যে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে অবদান রেখেছেন, আমি তাদের সবাইকে চিনতে চাই। চেনাতে চাই। যে ছবিগুলো দিয়ে আজ দেশের আর বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশের স্থপতিকে চেনেন, যে ছবিগুলো থেকে বঙ্গবন্ধুর শত ভাস্কর্য আর লক্ষ ব্যানার হয়েছে, সেই ছবিগুলোর ঐতিহাসিক আলোকচিত্রীদেরও এই সময়ের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়া জরুরি।  

৭ মার্চ ১৯৭১; আলোকচিত্র : রশীদ তালুকদার

মাত্র ৫০ বছরেই কেন সবকিছু ঘোলা হয়ে উঠল? বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ছবি যারা তুললেন সেই আলোকচিত্রীদের তিন চারজন বাদে প্রায় কেউ বেঁচে নেই। তাদের পরিবারের কারো কাছে তাদের তোলা নেগেটিভ নেই। সেগুলো কোথায়? মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সচিত্র এইসব মহামূল্যবান দলিল কী হলো? রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান যেমন শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, বঙ্গবন্ধুর জাদুঘর- কোথাও মূল ছবির নেগেটিভ নেই। নেই প্রিন্টেড ছবিতে ফটোগ্রাফারের নাম। নতুন প্রজন্মের কেউ যদি মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র নিয়ে গবেষণা করতে চান, তাহলে তিনি সবখানে হাতড়ে বেড়িয়েও বিশেষ কিছু পাবেন না। এইসব আলোকচিত্র সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা গেলে ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধের ওপরে ভালো কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণ করা অসম্ভব। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে বোঝার জন্য, সেই সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক পরিবেশ বোঝার জন্য ছবি হতে পারে খুবই ভালো সোর্স। কেননা, ছবি কখনো মিথ্যা কথা বলে না। আর একটা ছবি একশ শব্দ থেকে শক্তিশালী। বঙ্গবন্ধুর পোশাক, তার শরীরী ভাষা, তার চারপাশের পরিবেশ, ফ্রেমের অন্যান্য উপাদান, মুক্তিযোদ্ধাদের পোশাক, ছবিতে উঠে আসা পরিবেশ এগুলো বিশ্লেষণ করে অনেক তথ্য জানা সম্ভব। কিন্তু ছবিগুলো একটা নির্দিষ্ট জায়গায় সুশৃঙ্খলভাবে সংরক্ষণ করা নেই। যে ছবিগুলো আছে, নেই সেই ছবিগুলো সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য। এখনও সময় রয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যাগ গ্রহণ করে যেখানে যে নেগেটিভগুলো আছে, সেগুলো এক জায়গায় করে একটা আর্কাইভ করা হোক। ছবিগুলো প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করা হোক। বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারে, সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সবার

আলোকচিত্র : আফতাব আহমেদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরাকে দেখা যাচ্ছে। তাঁদের ঘিরে আছেন আলোকচিত্রী, সাংবাদিকসহ আরও অনেকে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ভারতীয় এই জেনারেলের বিদায় বেলায় তাঁকে সম্মান জানিয়ে বিশেষ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়৷ কুচকাওয়াজ শেষে ছবিটি ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ঢাকা স্টেডিয়াম থেকে তোলা। আলোকচিত্র : হারুন হাবীব
জেনারেল ইয়াহিয়ার সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রেসিডেন্ট ভবনের (বর্তমানে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধা) বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৬ মার্চ ১৯৭১; আলোকচিত্র : রশীদ তালুকদার

ওপরে বঙ্গবন্ধুর নির্বাচিত কয়েকটি স্থিরচিত্রের আলোকচিত্রীর নাম দেওয়া হয়েছে। আর এই লেখার জন্য যেসব বইয়ের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে তার তালিকা সংযুক্ত করা হয়েছে- 

১। ঢাকা ১৯৭১, বাংলা একাডেমী।
২। ঢাকা ১৯৪৮-১৯৭১, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী।
৩। আমার বাংলা, নাইব উদ্দিন আহমেদ।
৪। স্মৃতি চিত্র, আমানুল হক
৫। জয় বঙ্গবন্ধু, নাসির আলী মামুন।
৬। কালি ও কলম, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন।
৭। The Birth Pangs of a Nation, Drik.
৮। Bangladesh SIX DECADES, Nymphea publication. 

Related Topics

টপ নিউজ

বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী / জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ‘সরকারকে শত্রু মনে করে মানুষ’: দ্য গার্ডিয়ান-এর সঙ্গে সাক্ষৎকারে প্রধান উপদেষ্টা
  • ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা, নিহত অন্তত ৩, আহত কয়েক ডজন; ইরানেও চলছে হামলা
  • বাংলাদেশ থেকে ঝুট কাপড় সরবরাহ বন্ধে বিপাকে ভারতের পানিপথের টেক্সটাইল রিসাইক্লিং শিল্প
  • ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু, ৪ জনই বরগুনার
  • আলীকদমে পর্যটক মৃত্যুর ঘটনায় ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা ইসলাম গ্রেপ্তার
  • ইরান হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলকে শতাধিক হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র

Related News

  • শুরু হলো শোকের মাস
  • বেদনায় ভরা দিন
  • বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ
  • “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২১” এর সেরা ২৬ স্টার্টআপ পাচ্ছে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা অনুদান

Most Read

1
বাংলাদেশ

‘সরকারকে শত্রু মনে করে মানুষ’: দ্য গার্ডিয়ান-এর সঙ্গে সাক্ষৎকারে প্রধান উপদেষ্টা

2
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা, নিহত অন্তত ৩, আহত কয়েক ডজন; ইরানেও চলছে হামলা

3
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ থেকে ঝুট কাপড় সরবরাহ বন্ধে বিপাকে ভারতের পানিপথের টেক্সটাইল রিসাইক্লিং শিল্প

4
বাংলাদেশ

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু, ৪ জনই বরগুনার

5
বাংলাদেশ

আলীকদমে পর্যটক মৃত্যুর ঘটনায় ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা ইসলাম গ্রেপ্তার

6
আন্তর্জাতিক

ইরান হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলকে শতাধিক হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net