৯০ বছর বয়সে চলে গেলেন ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার শ্যাম বেনেগাল

প্রখ্যাত ভারতীয় নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল মারা গেছেন। আজ সোমবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯০।
শ্যাম বেনেগালের দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। তার মৃ্ত্যুর খবর ইন্ডিয়া টুডে-কে নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে পিয়া বেনেগাল।
হিন্দি সিনেমার জগতে অন্য ধারার ছবি তৈরিতে জোয়ার এনেছিলেন শ্যাম বেনেগাল। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম সিনেমা অঙ্কুর। তার সিনেমাগুলোতে সমাজের কঠিন বাস্তবতা চিহ্নিত হয়েছিল। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে ভারতীয় সমান্তরাল চলচ্চিত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন এই পরিচালক।
ভূমিকা: দ্য রোল (১৯৭৭), জুনুন (১৯৭৮), আরোহন (১৯৮২), নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু: দ্য ফরগটেন হিরো (২০০৪), মন্থন (১৯৭৬) ও ওয়েল ডান আব্বা (২০১০) সহ একাধিক চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
ওয়েল ডান আব্বা (২০১০) এর পর দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ছবির জগত থেকে বিরতি নিয়েছিলেন শ্যাম বেনেগাল। তবে চলচ্চিত্র ভাবনা কোনোদিন তার পিছু ছাড়েনি। সে কারণেই ৯০-এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক নির্মাণ করেন। 'মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন' (বাংলায় মুজিব একটি জাতির রূপকার) নামের এ সিনেমা গত বছর মুক্তি পায়। সিনেমাটি ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছিল।
চলতি বছরের শুরুতে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় 'মন্থন'। নাসিরুদ্দিন শাহ ও প্রয়াত অভিনেতা স্মিতা পাতিল অভিনীত এ চলচ্চিত্র ১৯৭৭ সালে দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল।
শ্যাম বেনেগালের মৃত্যু ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
১৯৩৪ সালের ১৪ই ডিসেম্বর হায়দরাবাদের কোঙ্কণী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম এই নির্মাতার। বাবা ছিলেন আলোকচিত্রশিল্পী। ছোট থেকেই তাই সংবাদমাধ্যমের প্রতি টান ছিল শ্যাম বেনেগালের। ১৯৫৯ সালে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থাতে যোগ দেন। এরপর ১৯৬২ সালে তিনি তার প্রথম তথ্যচিত্র তৈরি করেন।