যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন লতা, গানও গেয়েছিলেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে

চিরকালের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেছে কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকরের কোকিলকণ্ঠ। তার প্রয়াণে শোকে মুহ্যমান সংগীতজগত। লতার প্রস্থান বাঙালিদের মনেও বিঁধেছে শেল হয়ে। উপমহাদেশের সুরসম্রাজ্ঞী লতা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পরপরই শেষে বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন জায়গায় গান পরিবেশন করেছিলেন। সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর একটি টুইট করেছিলেন লতা।
মুক্তিযুদ্ধের পরপর ১৯৭২ সালে ভারতের অজন্তা শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গে বাংলাদেশে আসেন লতা মঙ্গেশকর। সাংস্কৃতিক দলটিতে লতার সঙ্গে আরও ছিলেন অভিনেতা সুনীল দত্ত ও তার ছেলে সঞ্জয় দত্ত এবং অভিনেত্রী ওয়াহিদা রেহমান।
১৯৭২ সালের সেই সফরে সেনাবাহিনীর বিমানে করে সব জায়গায় গিয়েছিলেন লতা। ঢাকায় এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেও জনমত গঠন ও মুক্তিযুদ্ধে তহবিল সংগ্রহের জন্য ভারতের বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। গান গেয়ে যে তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন, সেই অর্থ ব্যয় করা হয়েছিল ভারতে আশ্রয় নেওয়া লক্ষাধিক বাংলাদেশি শরণার্থীর জন্য।
তাছাড়া বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য গানও গেয়েছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী। ১৯৭২ সালে 'রক্তাক্ত বাংলা' নামক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি ছবি নির্মাণ করেন মমতাজ আলী। সেই ছবিতে সলিল চৌধুরীর সুরে 'ও দাদাভাই' গান গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। এটিই বাংলাদেশের সিনেমায় গাওয়া তার একমাত্র গান।
প্রসঙ্গত, প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার সকাল সোয়া আটটার দিকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ৯২ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন লতা মঙ্গেশকর।