স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি ভোজ্যতেল সরবরাহ করা হচ্ছে: সরবরাহকারীদের সংগঠন

স্থানীয় বাজারের বোতলজাত তেলের সংকট বেশ কিছুদিন ধরেই রয়েছে আলোচনায়। এনিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ভোজ্যতেল সরবরাহকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বর্তমানে স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও বেশি ভোজ্যতেল বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।
আজ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখেই বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় তাদের সংগঠনে যুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাভাবিক সময়ের থেকে বেশি সরবরাহ করছে। তাই ভোজ্যতেলের সরবরাহের পরিমাণ বিবেচনায়, সংকটের কোনো সুযোগ নেই।
সমিতিটি আরও জানায়, রমজানে বর্ধিত চাহিদা বিবেচনা করে কিছু 'ব্যবসায়ীর মজুদের প্রবণতা' থেকে যদি সংকট হয়ে থাকে, তা-ও অচিরেই কেটে যাবে কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য স্থিতিশীল থাকায়— অস্বাভাবিক মুনাফার সুযোগ নেই। এছাড়া দেশের শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি ভোজ্যতেল আমদানি করেছে, যা আগামী ৭-১০ দিনের ভিতরে বাজারে প্রবেশ করবে।
ভোজ্যতেলের সরবরাহে ঘাটতির সংবাদে সাধারণ ভোক্তাদের অনেকের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে— একথা উল্লেখ করে ভোক্তা ও ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত হয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণে না কেনার অনুরোধ করা হয়েছে। সমিতি এ সংকট মোকাবিলায় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং সংস্থাগুলোর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছে, যাতে এই সংকট দ্রুত নিরসন করা যায়।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন থেকে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের আশ্বস্ত করে বলেছে, আমরা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া, এই সংকটে যেন ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও মূল্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে - সেজন্যে সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং বৃদ্ধি করা, ভোক্তাদের সহযোগিতা ও ধৈর্য একান্ত কাম্য, যা আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সফল করবে।