বিচারপতির অসুস্থতায় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর রিটের শুনানি আজ হচ্ছে না

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি আজ (৩১ জুলাই) হচ্ছে না।
শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য থাকলেও আবেদনের শুনানিকারী হাইকোর্ট বেঞ্চের একজন বিচারপতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় শুনানি স্থগিত করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাইকোর্ট বেঞ্চের একজন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে বিষয়টি অবহিত করেন।
এর আগে ২৯ জুলাই সকালে কোটা সংস্কারের দাবিতে কর্মসূচি পালনকালে আন্দোলনকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে রিটে কোটা আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়।
জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা ও মনজুর আল মতিন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
পরবর্তীতে গতকাল (৩০ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটের শুনানি করেন।
শুনানির সময় হাইকোর্ট বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে রাখা বেআইনি।
পাশাপাশি গতকাল রিটের শুনানির সময় হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, "গত কদিনের মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। আমরা কেউই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছি না। পুলিশ কী আচরণ করবে, তা সিআরপিসিতে পরিষ্কার বলা আছে।"
আদালত আরও বলেন, "সংবিধান ও আইনে সব বিষয় লেখা আছে। কিন্তু আমরা কেউ সংবিধান, আইন মেনে চলছি না। কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা লজ্জিত।"
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার অনীক আর হক, অ্যাডভোকেট মানজুর আল মতিন প্রীতম।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী।