‘ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পাশ করে চাকরি করছেন ৩৩তম বিসিএসের অন্তত তিন ক্যাডার’

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ডিসপ্যাচ অফিসার খলিলুর রহমান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় ১০ জন প্রার্থীর কাছে প্রশ্ন ফাঁস করেছেন। এর মধ্যে তিনজন বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরি করছেন।
প্রশ্ন পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ছয়জন লিখিত পরীক্ষায় উতরে যান। তবে তিনজন পরে মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়েন বলে ঢাকার একটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জানান প্রশ্নফাঁসের দায়ে অভিযুক্ত খলিলুর।
এছাড়া, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও রেলের বিভিন্ন নিয়োগে অন্তত কয়েকশ নিয়োগে তার হাত ছিল বলেও মঙ্গলবার (৯ জুলাই) আদালতে স্বীকার করেছেন খলিলুর।
খলিল জানান, মিরপুরে তার বাসায় গিয়ে তার বিলাসী জীবনযাপন দেখে চমকে উঠেছিলেন খোদ অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারাও।

খলিলুর রহমান ২০১২ সালে একবার বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রশ্ন নিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে আটক হয়েছিলেন, কিন্তু সে সময় পিএসসি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে আদালতকে জানিয়েছেন তিনি।
জবানবন্দিতে খলিলুর আরও জানিয়েছেন, পিএসসির সাবেক একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছে তিনি চাকরি প্রার্থীদেরকে পরিচয় করিয়ে দিতেন। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললে নিয়োগের বিষয়ে আর্থিক লেনদেনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতো।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়ামুলও এসব প্রশ্নপত্র ফাঁসে বিভিন্ন সময় তাকে সহযোগিতা করেছেন বলে জানিয়েছেন খলিলুর।