শেখ হাসিনা, শাহাজাহান ওমর জয়ী: হেরেছেন মঞ্জু, কাদের সিদ্দিকী

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন।
এই আসনের মোট ভোটকেন্দ্র ১০৮। সব কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে শেখ হাসিনা (নৌকা) ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আবুল কালাম (আম– এনপিপি) পেয়েছেন ৪৬০ ভোট।
আরেক প্রার্থী মাহাবুর মোল্যা (গোলাপ ফুল–জাকের পার্টি) পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।
ঝালকাঠি-১ আসনে নির্বাচিত শাহজাহান ওমর
ঝালকাঠি -১ ( রাজাপুর - কাঠালিয়া) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ৬২৪ ভোট। স্থানীয় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সাবেক পিএস মহিউদ্দিনের কাছে জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো হারলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু
পিরোজপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। এ আসন থেকে সাতবার জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া মঞ্জু এই প্রথমবার কোনো নির্বাচনে হারলেন।
তিন উপজেলা মিলিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৫৪৪ ভোট, আর নৌকা নিয়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৯৬ ভোট।
পিরোজপুর-২ আসন থেকে ৬ বারের সংসদ সদস্য হয়েছেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনে নতুন বিজয়ী হলেন মহিউদ্দিন মহারাজ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। একসময় তিনি মঞ্জুর পিএস (ব্যক্তিগত সহকারী) হিসেবেও কাজ করেছেন।
জাতীয় নির্বাচনে জেপির সাফল্য দলের প্রধান নেতা- আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর উপরই সাধারণত নির্ভর করেছে। বিশেষত তাঁর নিজ এলাকা পিরোজপুর-২ আসনে বিজয়ের ওপর।
২০০১ সালে জাতীয় পার্টি ভেঙে জেপি গঠিত হবার পর থেকে দলটি মাত্র একবারই- ২০১৪ সালে একটির বেশি আসনে জিতেছে। যে নির্বাচন বিএনপি-সহ প্রধান বিরোধী দলগুলো বর্জন করেছিল।
টাঙ্গাইল-৮: হেরেছেন কাদের সিদ্দিকী
টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট।
টানা চতুর্থবার এমপি হলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আসন থেকে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি এই আসন থেকে এক লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ইকবাল হাছান মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।
এছাড়া জাতীয় পার্টির মুসা আহমেদ রানা (লাঙ্গল) দুই হাজার ২০৬, তৃণমূল বিএনপির খোরশেদ আলম (সোনালী আঁশ) এক হাজার ৩৩১, ইসলামিক ফ্রন্টের আহমদ রেজা (চেয়ার) এক হাজার ৩৯০, সুপ্রিম পার্টির মোরশেদ আলম (একতারা) এক হাজার ১৩০ ভোট পেয়েছেন।
এ আসনে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ছিল ১০৩টি। রোববার ভোটগ্রহণ শেষে সব কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
কুমিল্লা-৯ আসনে পঞ্চমবারের মতো জয়ী পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি মোট ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়েছেন ।
তাজুল ইসলাম ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ২০১৮ সাল থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আবু বকর ছিদ্দিক চেয়ার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ২৬০ ভোট, এবং জাতীয় পার্টির মো. গোলাম মোস্তফা কামাল লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ১৫৯ ভোট।
লাকসাম ও মনোহরগঞ্জএ দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় আসনে– গড় ভোট পড়েছে প্রায় ৫৮.৯৮ শতাংশ। এই আসনের মোট ভোটকেন্দ্র ১২৬টি। এর মধ্যে লাকসাম উপজেলায় ৬৬টি এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ৬০টি কেন্দ্র।