গত নির্বাচনে গড়ে ৪৫৩ ভোট পাওয়া ইসলামী ঐক্য জোট দিয়েছে ৪৫ প্রার্থী

২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ঐক্য জোটের ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সব প্রার্থী মিলে ভোট পান মাত্র ১১ হাজার ৩২৮টি। অর্থাৎ, প্রতি প্রার্থী গড়ে মাত্র ৪৫৩টি ভোট পান। সকল প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি গত বারের থেকেও ২০ প্রার্থী বেশি দিয়েছে এবং মোট এই ৪৫ প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারেই আশাবাদী।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে কওমি মাদরাসা-ভিত্তিক এ ইসলামপন্থী দলটি তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়ন বিক্রি করতে পরেছে মাত্র ১১৪টি আসনে ।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে বিএনপিকে সমর্থন করে নির্বাচন বর্জন করেছিল ইসলামী ঐক্যজোট।
দলটির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত মুফতি আমিনীর ছেলে ও দলটির বর্তমানে দলটির চেয়ারম্যান আবুল হাসানাত আমিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে নির্বাচন করছেন।
তবে দলের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ নির্বাচন করছেন না। অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ আরেক নেতা যুগ্ম-মহাসচিব আলতাফ হোসাইন কুমিল্লা-২ আসন (হোমনা-মেঘনা) আসনে লড়ছেন।
মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ টিবিএসকে বলেন, 'আমরা আশা করছি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে। সে ধারাবাহিকতায় আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের চলার পথ স্বতন্ত্রভাবেই এগোচ্ছে। ফলে ইসলামী ঐক্যজোট বর্তমানে কোনো জোটের অন্তর্ভুক্ত নয়। অতীতেও ইসলামী ঐক্যজোটের বিজয়ী নেতারা সংসদ সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।'
ইসির তথ্যানুসারে দেখা যায়, ২০০৮ সালে বিএনপির সাথে জোট করে ইসলামী ঐক্যজোট ৪ আসনে ভোট পায় মাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৪১৫টি; এর মধ্যে দুই আসনে দলটির প্রার্থীরা বিএনপির ধানের শীর্ষ প্রতীকে নির্বাচন করেন এবং ২টিতে নিজেদের মিনার প্রতীকে নির্বাচন করেন।
ইসলামী ঐক্যজোটের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালের ২২ ডিসেম্বর। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মূলত এই দলটি গঠন করা হয়।
তৎকালীন ছয়টি ইসলামি দল নিয়ে গঠন করা হয় এই জোট। দলগুলো হচ্ছে- খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলামী পার্টি, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন (বর্তমান ইসলামী আন্দোলন), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও ফরায়েজী আন্দোলন।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোট মিনার প্রতীকে নির্বাচন করে সিলেটের একটি আসনে বিজয়ী হন ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল হক।
২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির শরিক হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে ইসলামী ঐক্যজোট চারটি আসন লাভ করে।