হিরো আলমকে পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সহ্য করতে পারে না: মির্জা ফখরুল

হিরো আলমকে পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সহ্য করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেলে খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে 'তারুণ্যের সমাবেশে' প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রার্থী হিরো আলমের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'হিরো আলম কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবাই তাকে কম-বেশি চেনেন। ওই হিরো আলমকে পর্যন্ত তারা (আওয়ামী লীগ) সহ্য করতে পারে না।'
সোমবার বিকেল ৩টার দিকে বনানীর বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে মারধরের শিকার হন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। তার ওপর হামলাকারীদের অনেকে আওয়ামী লীগের নৌকার ব্যাজ পরিধান করেছিলেন।
হামলার পর রাজধানীর রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে ভর্তি হন হিরো আলম। মির্জা ফখরুল বলেন, 'তিনি (আলম) আজকে কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। সেখানে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বেচারা হিরো আলমকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বাইরে রাস্তায় মাটিতে ফেলে তাকে পিটিয়েছে বেধড়ক। সে এখন হাসপাতালে।'
ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, বাক স্বাধীনতা, নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা এবং মেধাভিত্তিক কর্মসংস্থানের দাবিতে খুলনা বিভাগীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল এ তারুণ্যের সমাবেশের আয়োজন করে।
তরুণদের উদ্যেশে ফখরুল বলেন, 'এই তরুণদের অনেক দায়িত্ব। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বে যত পরিবর্তন হয়, তার সামনে থাকে তরুণেরা। তারাই সামনের দিকে এগিয়ে যায়, সংগ্রামে যায়, প্রাণ দেয়, তারাই কর্তৃত্ব অর্জন করে নেয়। আমাদের এই আন্দোলনে ১৭ জন প্রাণ দিয়েছে। আমরা সেই সব তরুণদের স্মরণ করি।'
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'একদলীয় বাকশাল করেছিল আওয়ামী লীগ। মাত্র ১১ মিনিটে পার্লামেন্ট বদল করে ফেলেছিল। এই আওয়ামী লীগ সেই আওয়ামী লীগ। আজকে শুধু পোশাকটা পাল্টেছে।'
দেশের মানুষের ওপর সরকার নির্যাতন করছে দাবি করে ফখরুল বলেন, 'আমাদের ৬০০-এর বেশি নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে। ঝিনাইদহে তিন দিন আগে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা লিটন মন্ডলের হাতের দুই কব্জি কেটে দিয়েছে। তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।'
ফখরুল বলেন, 'এ কোন রাষ্ট্র আমরা তৈরি করলাম, যে রাষ্ট্রে কোনো মানুষের নিরাপত্তা থাকবে না, মত প্রকাশ করার জন্য গুম হতে হবে। আমাদের সিলেট বিভাগের এমপি ছিলেন ইলিয়াস আলী, তিনি গুম হয়ে গেছে। তার ছোট মেয়েটা এখন দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে যে বাবা আসবে। আমাদের ১,৭০০ নেতাকর্মীকে হত্যা, পঙ্গু করা হয়েছে।'
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এছাড়া বিশেষ বক্তা হিসেবে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।