দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে
চৈত্রের প্রচণ্ড দাবদাহে নাজেহাল দেশবাসী। সকালের দিকে মৃদু তাপপ্রবাহ থাকলেও বেলা বাড়তে বাড়তে তা পরিণত হয় কাঠফাটা রোদে। এভাবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দিনেরবেলা তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর বলছে, গত সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকতে পারে।
শনিবার খুলনার কিছু কিছু অংশে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু অংশে দিনের বেলা তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল বলে রোববার আবহাওয়া দপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে।
এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি আর্দ্রতার পরিমাণও এখন ৮৪ শতাংশ।
দিনের তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মাঝারি তাপপ্রবাহ ঘটে। সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে একে মৃদু তাপপ্রবাহ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকতে পারে।
রাজশাহীতে তীব্র তাপপ্রবাহ
রাজশাহীতে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রবাহিত হচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। চৈত্রের দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। প্রচণ্ড গরমের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। অনেকে গরমে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
রোববার (৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস; দুপুর ১২টায় তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গতকাল শনিবার ছিলো এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা গড়ে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে ৪০ ডিগ্রির উপরে। এছাড়াও, বাতাসে আগুনের হলকায় শরীর জ্বালাপোড়া করছে; ফলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে অনেককে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বেশি। এছাড়া তীব্র রোদের মধ্যে কাজ করায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শ্রমজীবী মানুষ।
