ফখরুল-আব্বাসের জামিন স্থগিতে সরকার হস্তক্ষেপ করেনি: আইনমন্ত্রী

আপিল বিভাগে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন স্থগিতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, "সরকার আদালতে কখনোই হস্তক্ষেপ করে না। আদালত স্বাধীনভাবে তাদের সিদ্ধান্ত দিচ্ছে।"
"গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে শুনেছি- হাইকোর্টে যে জামিন দেওয়া হয়েছিল সেখানে কিছু আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। সেজন্য তিনি আপিল বিভাগে গেছেন," যোগ করেন তিনি।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলে মন্ত্রী।
রাজধানীর নয়াপল্টনে ৭ ডিসেম্বর সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টা পর রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাদেরকে।
এ মামলায় এর আগে চারবার নিম্ন আদালতে বিএনপির সিনিয়র এ দুই নেতার জামিন নামঞ্জুর করা হয়।
৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
পরে এ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকার। আপিলের শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করা হয়েছে।
এই আদেশের ফলে, ফখরুল ও আব্বাস আপাতত কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী ও অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস।
আগামী ৮ জানুয়ারি জানা যাবে, এই দুই নেতা কারামুক্তি পাবেন কি না।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুক এবং জেলা জজ আদালতের প্রধান নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে বর্তমানে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন আইনজীবীরা। এর ফলে বন্ধ রয়েছে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম।
সম্প্রতি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে মামলা জমা দিতে গেলে মামলা না নিয়ে বিচারক আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ ঘটনায় আদালত বর্জনের কর্মসূচি দিলে আদালতের কর্মচারী পাল্টা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিচারকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেন।
এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, "বিচার বিভাগ স্বাধীন। প্রধান বিচারপতির কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ এবং অন্যান্য বিচারকরা অভিযোগ করেছেন। একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে একজন বিচারকের প্রতি তাদের আচরণ খারাপ ছিল- সেটা আমি শুনেছি। সেটির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।"
"এটি বিচারাধীন ব্যাপার, আদালত বিচার করবেন," বলেন তিনি।