ফখরুল, আব্বাসকে প্রথম থেকেই ডিভিশন দেওয়া উচিত ছিল: হাইকোর্ট

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে শুরু থেকেই প্রথম শ্রেণির ডিভিশন সুবিধা দেওয়া উচিত ছিল বলে বুধবার মত দিয়েছেন হাইকোর্ট; তারা উভয়েই সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী।
হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেন, জেল কোড অনুযায়ী গত ৯ ডিসেম্বর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের ডিভিশন সুবিধা নিশ্চিত করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। চারদিন পর তা মঞ্জুর করা হলেও এই সময়ক্ষেপণে ফখরুল ও আব্বাসকে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়।
পরবর্তী আদেশে কারাগারে ডিভিশন চেয়ে ফখরুল ও আব্বাসের রিট আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) মির্জা ফখরুলের পক্ষে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম এবং মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার স্ত্রী আফরোজা এই আব্বাস রিট আবেদন করেন।
আবেদনে তারা বিএনপি নেতাদের প্রথম শ্রেণির ডিভিশন সুবিধা দিতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি আদালতের নির্দেশ চান।
ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীরা সাধারণ বন্দীদের তুলনায় অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাদেরকে উন্নতমানের খাবার, বিছানা, টেবিল, চেয়ার, মশারি, সংবাদপত্র ইত্যাদি সরবরহ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পরে সাংবাদিকদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, 'নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।'