নয়াপল্টনে পুলিশের ব্যারিকেড, বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসতে দেয়নি পুলিশ। কার্যালয়ের আশেপাশে থাকা নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
জানা গেছে, সহকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির একদল সদস্য ঢাকার পল্টনের নাইটিংগেল মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে জড়ো হয়। এ সময় পুলিশ তাদের বিজয়নগর ক্রসিংয়ের দিকে সরিয়ে দেয়।
ভবনের ভেতরে বিস্ফোরক মজুদ করার অভিযোগে গতকাল থেকে বিএনপির কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করে রাখা এলাকা থেকে সাংবাদিকসহ সবাইকে সরিয়ে নিতে তৎপর ছিল পুলিশ।

এদিকে নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় উজ্জ্বল হোসেন নামক এক ব্যক্তি বলেন, "আমি একজন হকার। আমি বিএনপিকে সমর্থন করতে এসেছি এমন সন্দেহে পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করেছে।"
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা সমাবেশকে সামনে রেখে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে দলের নয়াপল্টন সদর দপ্তরের সামনে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের পর গতকাল গুলিবিদ্ধ একজনের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল বিকেলে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষের পর রাত ৮টা পর্যন্ত অন্তত ২০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।

সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, সংঘর্ষে বিএনপির দুই নেতা নিহত এবং অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।