গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বর্জন বিরোধীদলের প্রার্থীদের, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে, বলছেন সিইসি

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
অনিয়মের অভিযোগে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গাইবান্ধার ৪৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ার পর এ মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার নির্বাচন ভবনে সিসিটিভি ক্যামেরা ফিডের মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি।
এদিকে, গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) উপনির্বাচনে জাল ভোট ও ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে জাতীয় পার্টিরসহ চার প্রার্থী একসাথে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে সাঘাটার বগারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
ভোট বর্জনকারী চার প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টি থেকে এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু , বিকল্পধারার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও মাহবুবুর রহমান।
এসময় অবিলম্বে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে এ আসনে আবারও নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান তারা।
প্রার্থীরা বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় সবকয়টি গোপন কক্ষে নৌকা মার্কায় জোর করে ভোট নিচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকজন। ভোটারদের এমপি পদে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান আরজু জানান, গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় অনিয়মের অভিযোগে ৪৪টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
সকাল ৮টায় সাঘাটা উপজেলার ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলার ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোট শুরু হয়।
এবারই প্রথম ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এ আসনটিতে ভোটগ্রহণের আয়োজন করা হয়। কিন্তু ভোট শুরুর সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এ আসনটির প্রার্থী নির্বাচনে ভোট দিবেন ১৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৪ জন ভোটার।
একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ১,২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।