লক্ষ্মীপুরে ১২ নেতাকর্মীকে পেটানোর অভিযোগ যুবলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানাতে অপেক্ষা করার সময় যুবলীগের ১২ নেতার্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির কয়েকজন নেতাকর্মী।
তাদের অভিযোগ, লক্ষীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু ও তার অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে। তবে 'বাদানুবাদ' হয়েছে জানিয়ে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিপু।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে পৌরসভার গণকবর ও জেলেপল্লী এলাকার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে প্রার্থিতা ঘোষণা করায় প্রচার-প্রচারণা চালানোর কারণে হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হামলায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর, রুপম হাওলাদার ও তাদের অনুসারী ১২ নেতাকর্মী আহত হন। তাদেরকে সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে নেওয়া হচ্ছে। নুরুল আজিম বাবর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউনুছ হাওলাদার রুপম সদর (পূর্ব) থানা যুবলীগের প্রথম যুগ্ম আহবায়ক।
দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে শহরের সোনার বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে প্রায় চার বছর পর প্রথম জেলা যুবলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির বর্ধিত সভা হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী ও সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন রিগ্যানসহ দলের নেতারা অংশ নেয়। কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকা থেকে দুপুরে রামগঞ্জ হয়ে লক্ষ্মীপুরে আসার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। এজন্য অন্তত ১০ জন সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা নিজদেরকে প্রার্থিতা ঘোষণা করে নেতাদের শুভেচ্ছো জানিয়ে শহরের মোড়ে মোড়ে বিলবোর্ড, প্ল্যাকার্ড, ব্যানার-ফেস্টুনে ঢেকে দেন পুরো শহর।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই আহত নেতা সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রামগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কের পাশে দাঁড়ালে যুবলীগ সভাপতি টিপুর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।
এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "বাবরের সঙ্গে আমার বাদানুবাদ হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি।"
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর টিপুকে সভাপতি ও আবদুল্লাহ আল নোমানকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছরের জন্য লক্ষীপুর জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।