লকডাউন ভেঙে সংঘর্ষ, পা কেটে নিয়ে আনন্দ মিছিল
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে লকডাউন। কিন্তু লকডাউন ভেঙেই জেলার নবীনগর উপজেলায় শত শত মানুষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছেন।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল থেকে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে কয়েক দফায় চলে এ সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের একজনের পা কেটে হাতে নিয়ে আনন্দ মিছিল করতেও দেখা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সঙ্গে থানাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা কাউসার মোল্লার বিরোধ চলছিল। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলা এ বিরোধের জেরে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র¿ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
থেমে থেমে চলা এ সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ৩০ জন। সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোবারক মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তির পা কেটে অপর পক্ষের লোকজন গ্রামে আনন্দ মিছিল করে। ওই মিছিল থেকে পায়ের বদলে মাথা কেটে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়। এ ছাড়াও সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
