মুজিববর্ষের মূল অনুষ্ঠান হবে ডিজিটাল নির্ভর

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নির্ধারিত দিনই অনুষ্ঠিত হবে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত 'মুজিববর্ষ বাস্তবায়ন আন্তর্জাতিক উপকমিটি'র সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মুজিববর্ষের নির্ধারিত অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দেয়। এ প্রসঙ্গে মুজিব জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আগেই জানিয়েছিলেন, অনুষ্ঠানগুলো স্থগিত নয়, বরং পুনর্বিন্যাস করা হবে।
মঙ্গলবার ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ১৭ মার্চই মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন বড় গণজমায়েত না হলেও অনুষ্ঠানে কিছুটা নতুনত্ব আনা হয়েছে। ভিডিওর মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাইরে অনুষ্ঠানটির সংযোগ থাকবে।
বছরব্যাপী মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান করা হবে- জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সার্বিক পরিবেশের উন্নতি হলে পরবর্তী সময়ে বড় অনুষ্ঠানের চিন্তা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সঙ্গে অনুষ্ঠান সংযোগ থাকবে। আমাদের অনুষ্ঠানের মধ্যে আরও ছিল ২২ ও ২৩ মার্চ সংসদে বিশেষ অধিবেশন, ২০ মার্চ শিশুদের সঙ্গীত, ২৬ মার্চ ও ২৭ মার্চ অতিথিদের নিয়ে অনুষ্ঠান, তবে সবগুলোই জনসমাগম এড়িয়ে করা হবে। অনুষ্ঠানে থাকবে রক্তদান, মিলাদ মাহফিল, রাষ্ট্রপতির বাণী, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, শেখ রেহানার শুভেচ্ছা বক্তব্য।'
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, বিশ্বে করোনা ভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক অনুষ্ঠান সীমিত করা হয়েছে; জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থা অনেক অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে।
তিনি বলেন, 'আমাদের মন্ত্রণালয় দেশ সফর সীমিত করেছে। তাছাড়া আমরা ছয়টি দেশের (চীন, ইরান, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড) ব্যাপারে বিশেষ নজর রাখছি। সেসব দেশে থেকে আমাদের দেশে আসতে মেডিকেল টেস্ট করার কথা বলেছি। জরুরি না হলে দেশে আসতে অন্যান্য দেশের বসবাসরতদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।'