Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
November 08, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, NOVEMBER 08, 2025
জামদানি, বেনারসি ও কাতান শাড়ির দাম পাচ্ছেন না তাঁতীরা

বাংলাদেশ

আবুল হাসান, গাজীপুর
28 February, 2021, 01:45 pm
Last modified: 28 February, 2021, 01:47 pm

Related News

  • গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে শিল্পের প্রসার, বিনিয়োগ ছাড়িয়েছে ৮০০ মিলিয়ন ডলার
  • গাজীপুরে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
  • কালিয়াকৈরে মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে: এসপি
  • গাজীপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজের বাসভবনে চুরি, আটক ৩
  • গাজীপুরে চীনা প্রতিষ্ঠানের রক্ত আমাশয়ের টিকার ট্রায়াল করতে চায় আইসিডিডিআরবি

জামদানি, বেনারসি ও কাতান শাড়ির দাম পাচ্ছেন না তাঁতীরা

প্রয়োজনীয় বাজার মূল্য না পেলেও শুধু ঐতিহ্যপ্রীতি ও পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া তাঁতশিল্পের কারণেই কয়েকজন মালিক এখনো তাঁতকল চালু রেখেছেন।
আবুল হাসান, গাজীপুর
28 February, 2021, 01:45 pm
Last modified: 28 February, 2021, 01:47 pm
ছবি: টিবিএস

গাজীপুরের টঙ্গীর গুটিয়া এলাকায় হাতে গোনা কয়েক ঘরে কর্মরত তাঁত শিল্পীদের নিপুণ হাতের কর্মকুশলতায় তৈরি হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের বড় চিহ্ন জামদানি, বেনারসি শাড়ি। তবে সুতার দাম বৃদ্ধি, ভারতের শাড়ির অবাধ প্রবেশের কারণে বর্তমানে হুমকির মুখে এই শিল্প। সরকারি প্রণোদনা ও কারিগরি সহযোগিতা না পেলে অচিরেই গুটিয়া থেকে এই তাঁতশিল্প হারিয়ে যাবে চিরতরে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভারতের শাড়ির অবাধ প্রবেশ ও বিক্রির কারণে তাঁতশিল্প হারিয়ে যাচ্ছে- স্বীকার করে বিসিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ শিল্প রক্ষায় এ খাতে আর্থিক সহায়তার পরিকল্পনা তাদের বিবেচনায় রয়েছে।

জামদানি, বেনারসি শাড়ি বুননে মাত্র তিনশ ঘর তাঁতি এখনো টিকে আছেন গাজীপুরের গুটিয়া এলাকায়।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গীর সাতাইশ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ছায়া সুনিবিড় সবুজ এলাকায় গুটিয়া। এলাকায় প্রবেশ মুখে পা দিতেই কানে ভেসে আসে ঐতিহ্যমণ্ডিত তাঁত যন্ত্রের খট-খটা-খট শব্দ। এক সময় এ এলাকায় অন্তত ২ শতাধিক কারখানায় ১২শ'র বেশি তাঁতকল ছিল। সে সময় জামদানি শাড়ির বাণিজ্যটাও ছিল রমরমা। কিন্তু ভারতের শাড়ির অবাধ প্রবেশ, শিল্পায়ন, সুতার দাম বৃদ্ধি এবং শ্রমিক সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় এ শিল্প এখন বন্ধের মুখে।

তবু জামদানি ঐতিহ্যের শেষ স্মারক হিসেবে এই এলাকাতেই উৎপাদিত হচ্ছে জামদানি, কাতান ও বেনারসি শাড়ি।

ছবি: টিবিএস

শ্রম মজুরি নিয়ে তাঁতশিল্পীদের আক্ষেপ থাকলেও তাদের শ্রম, ঘাম ও নিপুণ কর্মকুশলতায় সৃষ্ট শাড়ি জামদানি, বেনারসি ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীর মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তাঁত কারিগররা বলছেন, সারা সপ্তাহে মাত্র ৩-৪টি শাড়ি তৈরি করতে পারেন তারা। এতে যে আয় হয়, তা নিয়ে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছেন।

এই এলাকায় বেনারসি কারিগর হিসেবে কাজ করছেন শেরপুরের মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, 'ভারতের যে শাড়িগুলো আসে, সেগুলো না এলে দেশে জামদানি, বেনারসির চাহিদা থাকত। আগের তুলনায় এসব শাড়ির চাহিদা এখন তেমন নেই। এ কারণে আমরা তেমন মজুরি পাই না। মাসে যে পরিমাণ মজুরি পাই, তা দিয়ে ঠিকমতো সংসার চলে না।'

গুটিয়া এলাকায় গত ৩০ বছর ধরে তাঁতের কাজ করছেন জানা মিয়া। কারখানার পাশেই ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে তার বসবাস। তিনি বলেন, 'আগে জামদানি, বেনারসি বুনে বেশ সুযোগ সুবিধা পাওয়া গেছে। বাজারে চাহিদা ভালো ছিল। এখন বাজার মন্দা, মহাজন সুবিধা করতে পারছেন না। ফলে এই এলাকার অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কমে গেছে তাঁতির সংখ্যা। এই অবস্থায় বর্তমানে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে আমাদের।'

আরেক কারিগর দুলাল মিয়া জানান, প্রতি পিস শাড়িতে তিনি ৭০০ টাকা মজুরি পান। একটি শাড়ি তৈরিতে মজুরিসহ খরচ হয় ১২০০-১৬০০ টাকা। মানভেদে এসব শাড়ি বাজারে বিক্রি হয় ১৬০০-২৩০০ টাকা। সুতার মূল্য বৃদ্ধি এবং ক্রমাগত লোকসানের কারণে প্রতিবেশীরা বেনারসি ও জামদানি তাঁত বন্ধ করে দিচ্ছেন। সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতাই করা হয় না। সরকারি পর্যায়ের কেউ কোনোদিন খোঁজও নেয় না। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই হয়তো অবশিষ্ট তিন ঘর তাঁতও বন্ধ হয়ে যাবে।

সুতার দাম বেশি এবং ভারত থেকে নানাভাবে আসা শাড়ি এখন অনলাইনেও বিক্রি হচ্ছে। বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না জামদানি ও বেনারসি শাড়ি। চলতে না পেরে শতাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে; অনেকেই ছেড়ে দিয়েছেন আদি পেশা।

ছবি: টিবিএস

এ বিষয়ে কারখানা মালিক আব্দুল কাদের জানান, তার কারখানায় সপ্তাহে ৩০-৪০টি বেনারসি, কাতান শাড়ি তৈরি হয়। এসব শাড়ি রাজধানীর মিরপুরসহ সারা দেশে বিক্রি হয়। তবে জামদানি, বেনারসি ও কাতান শাড়ির চাহিদা আগের তুলনায় কমে গেছে। 'সুতা খারাপ থাকলেও ভারতের শাড়ির দাম কম থাকায় জনসাধারণ ওই শাড়িই কিনছে বেশি। আর আমাদের সুতা ভালো এবং অপেক্ষাকৃত দাম বেশি হওয়ায় বাজারে মন্দাভাব রয়েছে বেনারসি ও কাতান শাড়ির। ফলে আমরা উচিত মূল্য পাচ্ছি না। এ খাতে সরকার যদি সাহায্য করে, তাহলেই তাঁতশিল্প টিকে থাকবে,' বলেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রয়োজনীয় বাজার মূল্য না পেলেও শুধু ঐতিহ্যপ্রীতি ও পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া তাঁতশিল্পের কারণেই কয়েকজন মালিক এখনো তাঁতকল চালু রেখেছেন।

ভারতের শাড়ির অবাধ প্রবেশ ও বিক্রির কারণে দেশীয় তাঁতশিল্প টিকতে পারছে না- স্বীকার করে গাজীপুর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের (বিসিক) সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জহুরা ফাতেমা বলেন, 'বিসিকের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ চালু রয়েছে। সেসব প্রশিক্ষণের আওতায় তাঁত কারিগরদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। বিসিক নিজস্ব কর্মসূচির আওতায় এবং কর্মসংস্থান ব্যাংকের সহায়তায় আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে থাকে। তাঁতশিল্পে জড়িতদের তাদের চাহিদা মাফিক আমরা আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করব।'

Related Topics

টপ নিউজ

গাজীপুর / তাঁতশিল্প / জামদানি / বেনারসি / তাঁতের শাড়ি / শাড়ি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ‘অ্যাডপ্ট এ রোড’ কর্মসূচি হলো একটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বমূলক উদ্যোগ, যেখানে কোনো এলাকার বাসিন্দা বা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য একটি রাস্তার দায়িত্ব নেয়। তারা রাস্তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, তদারকি করা এবং এমনকি কমিউনিটি পুলিশের খরচও বহন করে। ছবি: মেহেদী হাসান
    ‘অ্যাডপ্ট এ রোড’: যেভাবে নাগরিক মালিকানায় গুলশানের রাস্তা এখন পরিচ্ছন্ন-পথচারীবান্ধব
  • মিস মেক্সিকো ফাতিমা বশ। ছবি: ইপিএ
    মিস মেক্সিকোকে ‘গর্দভ’ বলে কটাক্ষ; প্রতিবাদে অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীরা
  • ড্রোন থেকে মশাবাহী একটি বায়োডিগ্রেডেবল ক্যাপসুল ফেলা হচ্ছে। ছবি: আমেরিকান বার্ড কনজারভেন্সি
    বিলুপ্তপ্রায় পাখিদের রক্ষায় অভিনব উদ্যোগ: হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে ড্রোনে ছাড়া হচ্ছে লাখ লাখ মশা
  • ইলন মাস্ক। ছবি : রয়টার্স
    এক ট্রিলিয়ন ডলার দিয়ে ইলন মাস্ক কী কী কিনতে পারতেন?
  • ন্যান্সি পেলোসি (ডানে) ট্রাম্পের অন্যতম কট্টর সমালোচক হয়ে উঠেছিলেন। ছবি: এএফপি
    ট্রাম্পের ভাষণ ছিঁড়ে ফেলেছিলেন, সেই পেলোসির অবসরের ঘোষণার পর ট্রাম্প বললেন ‘শয়তান মহিলা’
  • ছবি: এপি
    যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে সাগরে নামল চীনের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’

Related News

  • গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কে শিল্পের প্রসার, বিনিয়োগ ছাড়িয়েছে ৮০০ মিলিয়ন ডলার
  • গাজীপুরে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
  • কালিয়াকৈরে মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে: এসপি
  • গাজীপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজের বাসভবনে চুরি, আটক ৩
  • গাজীপুরে চীনা প্রতিষ্ঠানের রক্ত আমাশয়ের টিকার ট্রায়াল করতে চায় আইসিডিডিআরবি

Most Read

1
‘অ্যাডপ্ট এ রোড’ কর্মসূচি হলো একটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বমূলক উদ্যোগ, যেখানে কোনো এলাকার বাসিন্দা বা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য একটি রাস্তার দায়িত্ব নেয়। তারা রাস্তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, তদারকি করা এবং এমনকি কমিউনিটি পুলিশের খরচও বহন করে। ছবি: মেহেদী হাসান
ফিচার

‘অ্যাডপ্ট এ রোড’: যেভাবে নাগরিক মালিকানায় গুলশানের রাস্তা এখন পরিচ্ছন্ন-পথচারীবান্ধব

2
মিস মেক্সিকো ফাতিমা বশ। ছবি: ইপিএ
আন্তর্জাতিক

মিস মেক্সিকোকে ‘গর্দভ’ বলে কটাক্ষ; প্রতিবাদে অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীরা

3
ড্রোন থেকে মশাবাহী একটি বায়োডিগ্রেডেবল ক্যাপসুল ফেলা হচ্ছে। ছবি: আমেরিকান বার্ড কনজারভেন্সি
আন্তর্জাতিক

বিলুপ্তপ্রায় পাখিদের রক্ষায় অভিনব উদ্যোগ: হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে ড্রোনে ছাড়া হচ্ছে লাখ লাখ মশা

4
ইলন মাস্ক। ছবি : রয়টার্স
আন্তর্জাতিক

এক ট্রিলিয়ন ডলার দিয়ে ইলন মাস্ক কী কী কিনতে পারতেন?

5
ন্যান্সি পেলোসি (ডানে) ট্রাম্পের অন্যতম কট্টর সমালোচক হয়ে উঠেছিলেন। ছবি: এএফপি
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের ভাষণ ছিঁড়ে ফেলেছিলেন, সেই পেলোসির অবসরের ঘোষণার পর ট্রাম্প বললেন ‘শয়তান মহিলা’

6
ছবি: এপি
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে সাগরে নামল চীনের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net