এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: আদালতে তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এই মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানসহ আরও দুজন।
জবানবন্দি দেওয়া অন্যরা হলো; অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম।
আজ শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম ধর্ষণের ঘটনায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
এরআগে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়- তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে। দুপুরে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে তাদেরকে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির করে শাহপরান থানা পুলিশ।
তিন আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান। তবে জবানবন্দিতে আসামিরা কি বলেছেন তা তাৎক্ষণিভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
এর আগে ধর্ষণ মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও আসামি অর্জুন লস্কর গত সোমবার দুপুরে এবং একইদিন বিকেলে মামলার ৫নং আসামি রবিউল ইসলামকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
সেদিন তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান।
এদিকে এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এজাহারভূক্ত আসামি মুহিবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান মাছুম এবং সন্দেহভাজন আসামি রাজন আহমদ ও আইন উদ্দিনও রিমান্ডে আছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
মামলার সকল আসামিরা হলো; সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)।
এছাড়া, অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।